1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বহির্ভূত ৫৭টি আদেশে ডিপিসি স্থবির—১২ বছরেও প্রথম পদোন্নতি পাচ্ছেন না বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা।

গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার দাবি সাদুল্যাপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়িঘর দোকান জবর দখল : মামলা করেও প্রতিকার নেই

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের হাটবামুনী গ্রামে চাঁদার দাবিতে বাড়িঘর ও দোকান জবর দখল করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। থানার ওসি, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ আদালতে মামলা করায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। উপরন্ত দুর্বৃত্তদের একাধিক মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা ও হত্যার হুমকিতে জমির মালিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এনামুল হক চৌধুরী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিকার চেয়ে বুধবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক চৌধুরী লিখিতভাবে উলে¬খ করেন, তিনি পৈত্রিক সুত্রে সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের হাটবামুনী গ্রামের কামারপাড়া বাজার সংলগ্ন ৯ শতক জমিতে ৩টি দোকান ঘর, ১টি বসতবাড়ি নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় ওই এলাকার মৃত আবু তালেব মুন্সির ছেলে আব্দুল করিম, আব্দুর রউফ, আব্দুল করিমের ছেলে মিনু মিয়া, মমিন মিয়া, মহসিন মিয়া, আব্দুর রউফের ছেলে অছি মিয়া, জজ মিয়া দীর্ঘদিন থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এব্যাপারে এনামুল হক চৌধুরী সাদুল্যাপুর থানায় ২০১৬ সালের ৩ জুন সাধারণ ডায়েরী করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বাদির বাড়িতে ও দোকান ঘরে দেশীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে বেআইনীভাবে প্রবেশ করে তাকে বেঁধে রেখে জোরপূর্বক ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে ওইদিনই এনামুল হক চৌধুরী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্ত করে সাদুল্যাপুর থানা মামলা হিসাবে গ্রহণ করে যার জিআর নং ১৮১/১৬, তারিখ ০৯/০৭/১৬। পরবর্তীতে কামারপাড়া ইউনিয়নের পুলিশিং কমিটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার প্রস্তাব দিলে প্রতিপক্ষ আব্দুল করিম ও আব্দুর রউফ তাতে রাজি ও সম্মত হয়। উভয় পক্ষ সাদুল্যাপুর থানায় ওসির উপস্থিতিতে ৩শ’ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ৭টি শর্ত সাপেক্ষে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তপশীল জমি, ঘরবাড়ি ও দোকান ঘরের মূল্য নির্ধারণ পূর্বক ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই কামারপাড়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বংকা, সদস্য জহুরুল ইসলাম স্বপন, সাদুল্যাপুর থানার ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস তাঁর বসতবাড়ি দখলে নিয়ে আসামী আব্দুল করিম ও আব্দুর রউফ সাদুল্যাপুর থানার ওসিকে ৫০ হাজার টাকা নগদ বায়না দেয়। আবার কিছুদিন পর অবশিষ্ট ৭ লাখ টাকা ওসির নির্দেশে আব্দুল করিম ও আব্দুর রউফ, তারিকুল ইসলাম বংকার সঞ্চয়ী হিসাবে জমা দেয় এবং সেই টাকা এনামুলকে না দিয়েই তাদের ঘরবাড়ি কবলা বা বুঝে না দিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানা করতে থাকার একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ১২ মে তারা এনামুলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তারা চুক্তিনামার শর্ত মোতাবেক জমাকৃত ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করবে না। উপরন্ত ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জবর দখল করে নিবে। এ ঘটনায় মামলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে আসামীরা আপোসের কথা বলে টালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

এতে নিরুপায় হয়ে অসহায় এনামুল হক চৌধুরী সাদুল্যাপুর থানার তৎকালীন ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস, কামারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল কবির বিন্দ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহকারী মো. শফিকুর রহমান, কামারপাড়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বংকা, সদস্য জহুরুল ইসলাম স্বপন, রানা মিয়া, লিটু মিয়া, আব্দুল করিম, আব্দুর রউফ, দুদু মিয়া, মহসিন, মমিন, মিনু, অছি, জজসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৭ মে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার না করে নানা টালবাহানা করছে এবং আসামীরা মামলার বাদি ও সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক চৌধুরী বড় ভাই জিল্লুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft