
কোটা সংস্কারের দাবিতে ষোলশহরে শাটল ট্রেন আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল থেকেই ষোলশহর স্টেশনে শত শত আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জড়ো হয় সেখানে বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অন্দোলনকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করারও ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি নগরীর ষোলশহরে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা।
গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আরজু জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করার ঘোষণা দেয়েছেন। সকাল থেকে প্রত্যেক বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। আমাদের সঙ্গে অনেক শিক্ষকও যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রবিবার দুপুরে কোটা সংস্কার দাবিতে শাহবাগে জড়ো হয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের অবস্থানে রাত আটটার দিকে পুলিশ চড়াও হলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে এই সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। অনেককে আটক করে পুলিশ।
এরপর গতকাল সোমবারও দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকালে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাসান খান কামালের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তারা সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করছেন। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তি দেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।সূত্র-আরটিএনএন