
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে চূড়ান্ত ম্যাচের আগে ইস্তাম্বুলের ‘বাসাকশেহির’ ফুটবল ক্লাবের খেলা দেখা জন্য টিকিটের জন্য লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে ছিলেন মুরাত সেন্ট্রুক নামে ক্লাবটির একজন ভক্ত।
৩৭ বছর বয়সী মুরাত সেন্ট্রুক ক্লাবটির প্রশংসা করে বলেন, ‘এখানকার বেসিক্টাস স্টেডিয়ামটি বেশ চমৎকার। এখানে প্রবেশ করা অত্যন্ত সহজ। টিকেটও সস্তা। বাসাকশেহির ক্লাবে ভাল খেলোয়াড় এবং একজন ভাল ম্যানেজার রয়েছে।’
বাসাকশেহির ফুটবল দলটি বর্তমানে ইস্তাম্বুলের শীর্ষ দলগুলোর একটি।
তিনি দেশটিতে নতুন একটি অভিজাত শ্রেণি, রক্ষণশীল ব্যবসায়ী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। পূর্বের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। বাসাকসেহির হচ্ছে তার খেলাধুলার উন্নয়নের একটি উদাহরণ।
একে পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ আছে- এমন এক দল পরিচালক কর্তৃক ক্লাবটি পরিচালিত হয়। তারা ইস্তাম্বুল পৌরসভার কাছ থেকে ক্লাবটি কিনে নেন। তখন ক্লাবটির অবস্থা বেশ দুর্বল ছিল। চার বছর পর ক্লাবটি তুরস্কের সুপার লিগের দ্বিতীয় স্থানে ওঠে আসে।
বাগিস আরটেন নামে একজন ক্রীড়া কলামিস্ট বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাসাকসেহির কর্মকর্তারা একটি ফুটবল সাফল্যের গল্প তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।’

ছবি: ইস্তাম্বুলের ‘বাসাকশেহির’ ফুটবল ক্লাব
একজন সাবেক আধা প্রফেশনাল ফুটবলার হিসাবে এরদোগান তুর্কি ফুটবলের গুরুত্ব বোঝেন। দেশটির লাখ লাখ মানুষ খেলাটির প্রতি আবিষ্ট থাকেন। বাসাকসেহির সহ ইস্তাম্বুলের শীর্ষ তিনটি ক্লাব ও তার ভক্তরা অতীতে এরদোগানের জন্য সমর্থন দেখিয়েছেন।
২০১৩ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে ফুটবল ফ্যানদের সংগঠন ‘আল্ট্রস’ একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল। গত বছর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনুষ্ঠিত গণভোটের সময়ও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।
বাসাকসেহির নামটি ইস্তানবুলের বাইরের একটি জেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন পার্টি ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করা হয়।
আঙ্কারার ‘বিলকেন্ট’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সহকারী অধ্যাপক বেক্র এসেন বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কোনো খাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনপ্রিয় নেতারা সবসময়ই চেষ্টা চালাতে আগ্রহী। যেহেতু ফুটবল তুরস্কের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা, একারণে একে পার্টি এবং এরদোগানের এতে জড়িত হওয়া নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।’
ওজেটওয়াই ডটকম অবলম্বনে