1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ অপরাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

এটি আমার রাজনৈতিক অধিকার, যেখানে যাবো সেখানেই ভোট চাইবো: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নৌকায় ভোট চাওয়া তাঁর রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি যেখানেই যাবেন দলের সভাপতি হিসেবে নৌকায় ভোট চাইবেন। তিনি বলেন, ‘ভোট চাওয়া আমাদের রাজনৈতিক অধিকার, আমি একটি দলের সভাপতি হিসেবে যেখানেই যাব সেখানেই দলের জন্য ভোট চাইব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকে সভাপত্বিকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে বোঝাতে হবে একমাত্র নৌকায় ভোট দিয়েই দেশের মানুষ উন্নতি পায়। এই নৌকায় ভোট দিয়েই মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে রাষ্ট্রভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে এবং নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই গ্রাম-গঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়াটা পেয়েছে। কাজেই এই কথাটা সকলকে বলতে হবে।

আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চাই আর দেশের উন্নয়ন করার সুযোগ চাই। মানুষকে সেবা করাই আমাদের কর্তব্য সেই সেবা করার সুযোগটা আমরা আপনাদের কাছে চাই। জনগণের আমাদের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস সেটাই আমাদের চলার পথের পাথেয়। তাঁর সরকারের দায়িত্ব দেশের মানুষের সেবা করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর সেই সেবাটা সর্বোতভাবে তারা জনগণকে দিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবেই সরকার পরিচালনা করছে। এটি যেন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো। বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। তখন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। আর বাংলাদেশ হবে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে- বাংলাদেশের যে ভৌগলিক অবস্থান তাতে এখানে কিন্তু আমরা অনেক কাজ করতে পারি। নিজেদের অর্থ উপার্জনের পথ আমরা তৈরি করে নিতে পারি, কিন্তু এদিকটায় কেউ কখনো দৃষ্টি দেয় নাই- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

তিনি বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনার দায়িত্বটা বাংলাদেশ নিতে পারে। সেখান থেকেই আমাদের অর্থনৈতিক বিরাট অর্জন হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়টি কেউ এভাবে বিবেচনা করে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা ক্ষমতায় আসে ভোগ-বিলাসে গা ভাসাতে, আর মানুষ খুন করতে। গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, এটাই তাদের চরিত্র। অন্যদিকে জনগণের উন্নয়ন এবং ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন হবে- আমাদের অবশই জনগণের কাছে যেতে হবে এবং নৌকায় ভোট চাইতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনার লোকের অভাব নেই। একশ্রেণির লোক আছে যাদের কাজই হলো সমালোচনা করা। যারা অহেতুক সমালোচনা করে তারা আমাদের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। তাদের কথায় কান দিলে চলবে না। যারা উন্নয়ন চায় না, উন্নয়ন তাদের চোখে পড়বে না। তিনি বলেন, সমালোচনা নিয়ে না ভেবে দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিএনপি নিজেদের আখের গুছিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো কীভাবে নিজেরা অর্থ-সম্পদের মালিক হতে পারে। নিজেদের আখের গুছানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই তারা মানুষের ও দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশ পিছিয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে লক্ষ্য ঠিক রেখে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়েছি বলেই আজ উন্নয়ন সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে। আর দেশের উন্নয়ন করেছি বলেই জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছি। যাদের চোখ নষ্ট তারা উন্নয়ন দেখছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে সেখানে তাদের স্থানীয় এমপিরা যাচ্ছেন এবং ক্ষয়-ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কারণ মানবতার পাশে দাঁড়ানোই তাদের কাজ।

তিনি বলেন, তার সরকার প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে যাচ্ছে। পাশাপাশি এ সব রোঙ্গিাদের দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গেও তার সরকার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং এজন্য চুক্তিও করেছে। এর বাইরে তাদের থাকার জন্য যেহেতু সামনে বর্ষার মওসুম আসছে তাই ভাষাণচরে সাইক্লোন সেন্টার এবং ঘর-বাড়ি করে দিচ্ছে, বাঁধ নির্মাণ করে দিচ্ছে। কারণ এখন যে জায়গায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে সেখানে বর্ষায় ভূমিধসসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে পারে। এসব রোহিঙ্গাদের মানবতার কারণে সরকার আশ্রয় প্রধান করেছে। তথাপি এত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে অতিরিক্ত এসব জনগণকে আশ্রয় দেওয়ায় সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে সামগ্র বিশ্বই বলতে গেলে বাংলাদেশের সাথে। এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের আরেকটি বড় অর্জন।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft