
আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে আবার ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক সব মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির লক্ষ্যে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম আলহাজ মো. খোরশেদ আলমের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য মন্তব্য করেন।
এসময় জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো পাত্তা ও অস্তিত্ব থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। তিনি আরো বলেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে আবার ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না এবং বোকা বানানো যাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংসদ সদস্যদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ দিলে সেটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা শুনলাম ইসি সংসদ সদস্যদের সিটি নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ দিতে পারে। এটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন হবে এবং নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, এরই মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের যে প্রান্তেই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইলে পক্ষান্তরে সিটি নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাওয়ার শামিল। এ কারণে সিটি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইতে পারেবন না। যদি চান তাহলে সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। আমরা শুনলাম, ইসির এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি ইসিকে বলতে চাই, পরিকল্পনায় আনুন। অন্যথায় সিটিতে জনগণ নির্ভয়ে ও নিজ হাতে তাদের ভোটটা দিতে পারবে না। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আগে এ দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন আপনাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সামনে দুটি পথ আছেন। প্রথমত, নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ ভেঙে দিয়ে সেই নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এগুলো চাইবে না। আর আমরা আশাও করি না, কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে এ সুযোগ দেবে। এই সুযোগ আমাদের তৈরি করে নিতে হবে। এ জন্য জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।
সরকারকে উদ্দেশ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর এখনকার সময় এক নয়। এর মধ্যে নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে। সুতরাং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো ভোট ও ভোটার ছাড়া আরো কোনো পাতানো খেলা হতে দেওয়া হবে না।