
২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ রানে জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরব আমিরাতের এই জয়ের দরুণ জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ মিশন শেষ।
আর এই জয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন জিইয়ে থাকলো আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে খেলায় বিজয়ী টিম খেলবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত স্কোর যখন ৭ উইকেটে ২৩৫ (৪৭ ওভার ৫ বলে) তখনই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টির পর জিম্বাবুয়ে ৪০ ওভারে ২৩০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে ২২৬ রানে শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ মিশন। ১৯৭৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে গ্যালারীতে বসে থাকতে হচ্ছে দলটিকে।
তবে সামান্য একটা আশা আছে জিম্বাবুয়ের। তা হচ্ছে- আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান ম্যাচ টাই হতে হবে। তাহলে রানরেটে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে জিম্বাবুয়ে। তবে যদি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় তাহলে নেট রানরেট হিসেবে বিশ্বকাপে যাবে আয়ারল্যান্ড।
২০০৭ বিশ্বকাপে ১৬টি দল খেলেছিল। ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১৪তে নামিয়ে আনা হয়। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া ১০ দলের সঙ্গে সহযোগী ৪ দলের অংশগ্রহণ টুর্নামেন্ট দু’টিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। এবারের আসরে আরও চারটি দল কমিয়ে ১০ দলের বিশ্বকাপ দেখবে ক্রিকেটামোদীরা। ফুটবল বিশ্বকাপে যেখানে দলের সংখ্যা বাড়ন্ত সেখানে ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে দল কমানো সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে নানা সমালোচনার।
আরো পড়ুন
বাংলাদেশকে হারাতে পারব: জিম্বাবুয়ে
ঢাকা: ত্রিদেশীয় সিরিজে খানিকটা হতাশা কেটেছে লঙ্কানদের। চাপে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যায় জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পায় লঙ্কানরা। আর এতেই সিরিজের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কা।
এদিকে আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশকে হারাতে হবে তাদের। আর এই ম্যাচে নিজেদের জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার মুর।
মুর বলেন, অবশ্যই আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনালকে টার্গেট করে এসেছি। আমরা এখানে খেলার জন্য খেলতে আসিনি। কালকের ম্যাচটি আমাদের জন্য মৌলিক হয়ে উঠেছে। ফাইনালে যেতে ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটিতে আমরা সবাই ভালো পারফরম্যান্স করতে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি আরও বলেন, আমরা আলাদা একটা মাইন্ডসেট আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামব। কিভাবে সেটা পাব, সেটা বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে আমার মনে হয়, আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা কিভাবে জিতেছি, সবাই দেখেছে। আমার মনে হয়, আমরা নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছি। দেখিয়েছি কি করতে পারি। যদি আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, তবে আত্মবিশ্বাস আছে বাংলাদেশকে হারাতে পারব।