
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলা ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা চার পুলিশ সদস্যর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আয়োজনে আলোচনা সভার আগে নিহত চার পুলিশ সদস্যর স্মরনে জেলা পুলিশও নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে স্থাপিত স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণ জাগরণ মঞ্চের সংগঠক ফয়সাল সাকিদার আরিফের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্-আল-ফারুক, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস.এম গোলাম কিবরিয়া ও সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান।
এছাড়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সমশ্ উদ্দিন বাবু, বামনডাঙ্গা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব বিষ্ণু রাম রায়, মানবাধিকার কর্মী মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হবি ও শাহজাহান মিয়া। আলোচনা শেষে নিহত চার পুলিশ সদস্যর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

এদিকে, চার পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ৫ বছরেও বিচারকাজ শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা। দ্রুত বিচারকাজ শেষ করে দোষীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এসময় উপস্থিত নিহত পুলিশ কনস্টেবল হযরত আলীর স্ত্রী লায়লা বেগম বলেন, ‘স্বামী হত্যার ৫ বছর হলেও আজ বিচার দেখতে পাননি। চাকুরী শুরুর আট বছর পরেই স্বামী মারা যাওয়ায় সংসারে আয় রোজগারের পথও বন্ধ হয়েছে। ফলে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করা একমাত্র ছেলে ইফতেখারের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। স্বামী হত্যার পর পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তাকে চাকুরীর আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি বারবার ঘুরেও স্বামীর পেনশনের টাকাও তুলতে পারছেন না’।
বর্তমান সময়ে এযদি হয় অবস্থা কে নিবে এই অসহায়দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।