
সাধারণত বরেণ্য কোনো মানুষের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে মৃত্যুর পর স্মৃতি সংঘ খোলার রীতি প্রচলিত। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভক্তরা। এরশাদের জীবদ্দশায়ই তারা স্মৃতি সংঘ খুলে বসেছেন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ী মসজিদপাড়া গ্রামে এই নামে একটি ক্লাব গঠন করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এই স্মৃতি সংঘ গঠন নিয়ে চলছে ‘রসালো’ আলোচনা।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রচার পেলেও ‘এরশাদ স্মৃতি সংঘ’ যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। শুরুতে ১১ জনের একটি কমিটি থাকলেও পরে ৬৭ জন সদস্য এই ক্লাবের সদস্য হয়েছে।
বর্তমানে এই সংঘের সভাপতির দায়িত্বে আছেন টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন যুবসংহতির ওয়ার্ড সভাপতি আজিবুর রহমান। তিনি জানান, ‘আমরা এরশাদ ভক্ত ১১জন এই ক্লাব ঘর তৈরি করি এবং নিয়মিত বিকালে মেঝেতে চটি বিছিয়ে আমরা জাতীয় পাটির চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। পরে গ্রামের মানুষজনের মাঝে এরশাদ সরকার আমলের উন্নয়ের কথা ছড়িয়ে দেই।’
মৃত ব্যক্তিকে স্মরণ বা স্মৃতিতে রাখতে এমন ক্লাবঘর তৈরি করা হয়, কিন্তু এরশাদ তো জীবিত আছেন-এই মন্তব্যের বিপরীতে ক্লাবের সভাপতির জবাবটা আর পাওয়া যায়নি। কারণ, তিনি আগেই কল কেটে দেন।
জাতীয় পার্টির ডিমলা উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব জাকারিয়া হোসেন রাজু বলেন, ‘যুবসংহতির কর্মীরা এরশাদকে ভালোবেসে স্থানীয় ভাবে একটি ক্লাবঘর বানিয়েছে বলে শুনেছি। তবে না বুঝে তারা এরশাদ স্মৃতি সংঘ নাম দিয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বলব।’