
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে
বুধবার রাত ৯টার দিকে দামোদরপুর ইউনিয়নের মরুয়াদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত খায়রুনেছা (৬০) মরুয়াদহ গ্রামের আব্দুস সামাদ বেপারীর স্ত্রী।
নিহতের মেয়ে জামাই সাইফুল ইসলাম (৪৫) গাইবান্ধা সদরের কূপতালা বাঁধের মাথা এলাকার মৃত. আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে।
পারিবারিক সুত্রে জানা জায়, ১৪/১৫ বছর আগে খায়রুনেছার মেয়ে শাহানা আকতার শেলির সাথে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিন মাস আগে শাহানা স্বামীকে তালাক দেন। এরপর তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। তারপর থেকে সাইফুল প্রায় মোবাইলে ফোন করে শাশুড়ি ও শ্যালকদের হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।”তিনি আরও জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে খায়রুনেছা বাড়ির অদূরে মরুয়াদহ খুশি মিয়ার রাইচ মিল এলাকায় তার ছেলে রওশন আলমের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।“পথে মেয়ে জামাই মোবাইল ফোনে তাকে বাড়ির অদূরে মসজিদের সামনে গাব গাছের নিচে কথা বলার জন্য ডাকেন। ওখানে যাওয়ার পর তার সঙ্গে কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে শাশুড়ির ঘারের নিচে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।”তিনি জানান, তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবাসিক চিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।”
সাদুল্লাপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, লাশের সুরতাহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের হয়েছে।