
জেলাবাসীর জনদূর্ভোগ রোধে জেলা প্রশাসকের আহ্বানের পর গাইবান্ধা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে যাচ্ছে গতকাল হতে । পাশাপাশি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রুটে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আঞ্চলিক ও দুরপাল্লার বাস চলাচল। এতে মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। জনদূর্ভোগ কমতে শুরু করেছে জেলা জুড়ে । আগের মতো যান চলাচল করছে সড়ক মহাসড়কে। জনমনে ভীতি কাটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রমিক সংঘর্ষের জের ধরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রুটে গত তিনদিনের বাস চলাচলে অচলাবস্থা নিরসনে গতকাল ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের মধ্যস্থতায় বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাদিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার, ওসি (তদন্ত) আরশেদুল হক, ওসি (অপারেশন)মজিবর রহমান, পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম, গাইবান্ধা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম মুরাদ, সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু,পলাশবাড়ী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বিপ্লবসহ গাইবান্ধা ও পলাশবাড়ীর মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শ্রমিক সংঘর্ষের জের ধরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রুটে চলমান দ্বন্দের মিমাংসা হলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একমত পোষন করেন। এরপর জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধার এক শ্রমিককে মারধর ও বাস ভাঙচুর করে পলাশবাড়ীস্থ জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। পরে গাইবান্ধার বাস পলাশবাড়ীতে যেতে বাঁধা দেয় তারা। এতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার সড়কে বাস-ট্রাক ফেলে রেখে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হলেও বাস চলাচলে বাঁধা দেয় পলাশবাড়ীর শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী গাইবান্ধার বাস পলাশবাড়ীতে না গিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বাস চলাচল বন্ধের সিন্ধান্ত নেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। আজ শ্রমিকদের এ দ্বন্দ নিরসন হওয়ায় জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জেলার জনসাধারণ।