
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ এখন যা সিদ্ধান্ত নেয়ার নিয়ে ফেলেছেন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে বেগম জিয়াকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেব।
শনিবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে এই সরকার জেলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে বেগম জিয়া টাকা মেরে খায়নি। এই কথা দেশের সবাই জানে। ব্যাংকে টাকা রাখার ব্যাপারে বেগম জিয়ার কোনো অনুমোদন ছিলো না। ব্যাংকে টাকা যেমন ছিলো তেমনি আছে। সেই টাকা এখন ৬ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি কখনও এই টাকা হস্তগত করেননি।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার লোক না। তিনি যদি কখনো বলতেন আমার কোন কাজের জন্য ২ কোটি টাকা দরকার বিএনপি অফিসের সামনে যদি দুটি ড্রাম রাখা হতো লাইন ধরে মানুষ এক ঘন্টার মধ্যে এর বেশি টাকা দিতো।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এখন দেশের বাইরে সেকেন্ড হোম বানিয়ে রেখেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, সুইসব্যাংকে টাকা রাখছে। ৬৯ সালে কোনো নেতা জেলের বাইরে ছিলেন না। তারা প্রত্যেকেই জেলে ছিলেন। তাই বলে কি তারা ৭০ এর নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে নাই।
মানববন্ধনে বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বেগম জিয়া আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এই অবৈধ সরকার অন্যায়ভাবে তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারের ভেতর আটকিয়ে রেখেছে। দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কখনোই একতরফা নির্বাচন হবে না। আমরা বেগম জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।