আগামী ২ এপ্রিল (সোমবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র আর ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের তুলনায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৯টি আর পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৪টি।
এইচএসসি পরীক্ষার সময় বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেসব কোচিং সেন্টার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবং পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ আদেশ জারি হবে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় তদারক কমিটির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেগুলো আজ আদেশ আকারে জারি করা হবে। সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও রয়েছে—পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখা, কেন্দ্রসচিব ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন কেন্দ্রে নিতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রসচিবও শুধু একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া এবার ট্রেজারি বা থানা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগেই। এ ছাড়া কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, তার সেট নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হবে ১৪ মে।