
‘সরকারের নির্দেশেই খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফাইড কপি দেওয়া হচ্ছে না’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কখা বলেন। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অথবা নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করতে বর্তমান সরকার তাদের ‘আন্দোলনের ফসল’ ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের ‘অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত’ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রিজভী আরো বলেন, খালেদা জিয়ার মনোবল ভাঙতেই তাকে নির্জন কারাগরে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনো সাজা বা কারাবাস খালেদা জিয়ার মনোবল দুর্বল করতে পারবে না।
খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ‘মাস্টারমাইন্ড’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বিশেষ দূত সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ—এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার। তাই সরকারের নির্দেশে মিথ্যা সাজানো ও ঘষামাজা করা মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন বলেন, ‘জাল-জালিয়াতি ও ঘষামাজা করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের রায় দিয়েছে সরকার। কারণ, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে বিচারক ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় লিখেছেন। অথচ নিয়ম অনুসারে সাত দিনের মধ্যে আসামিপক্ষকে রায়ের কপি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।’
‘সরকারের নির্দেশে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি দেওয়া হচ্ছে না। নিশ্চয় সরকারপ্রধানের নির্দেশে মনগড়া রায় সংশোধন করা হচ্ছে। আর সে জন্য রায়ের কপি দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে,’ যোগ করেন রিজভী।