
চোটে আক্রান্ত হয়ে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দল থেকে ছিটকে পড়েন। টেস্টের পর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও খেলতে পারছেন না তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। এখন নতুন করে দুশ্চিন্তা, সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ওপেনার তামিম ইকবালও নাকি চোটে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার অনুশীলনে ব্যথা পান দলের এই দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার।
অবশ্য মুশফিক-তামিমের এই চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘গতকালই তাঁরা ব্যথা পেয়েছেন। আজ আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। তামিমের চোট খুব একটা গুরুতর না হলেও মুশফিকের হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কাল সকালে পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে, মুশফিক খেলতে পারবে কি না।’
মুশফিক কব্জিতে চোট পেয়েছেন। আর তামিমের বাইসেপসে (বাহুর ঊর্ধ্বাংশ) টান অনুভব করছেন। দুজনই এখন বিসিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এদিকে তামিম-মুশফিকের চোট নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ শোনালেন আশার কথা, ‘গতকাল হঠাৎ ওর তামিম বাইসেপসে কিছুটা টান অনুভব করে। তাই ওর জন্য এখনো সেরা একাদশ গঠন করতে অপেক্ষা করছি। পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের ব্যাপারটাও আছে। আশা করছি, ওদের দুজনকেই কালকের ম্যাচে পাব আমরা। আমরা অপেক্ষা করছি।’
এর আগে সাকিব চোটে আক্রন্ত হন ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে ব্যথা পান তিনি। আঙুল ফেটে যায় এবং সেলাই পর্যন্ত করাতে হয়েছিল।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো হয়নি। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ড্র হলেও ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে বাজেভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কেমন করবে, সেটাই এখন দেখার।
এর আগে দু’টি টেস্ট ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির জার্সিতেও মাঠে থাকতে পারছেন না বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। যে কারনে দর্শক সারিতই থাকতে হচ্ছে সাকিবকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পাওয়ায় চট্টগ্রাম ও ঢাকা টেস্টের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিও খেলা হচ্ছে না তার।
যদিও শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের জন্য সাকিবকে রেখেই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে সাকিব বলেছিলেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আমার হাতের ব্যান্ডেজ খোলা ও সেলাই কাটা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে তখনই বলা যাবে না আমি খেলতে পারবো কি না। দুই/তিন পর যদি বুঝি খেলার অবস্থা আছে তাহলে প্রথম টি-টিয়েন্টি খেলব।