
ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক ইসলামের পথে এসে নিজের জীবনকে শান্তির পরশে আবৃত করতে চান। না এটা কোনো সিনেমার গল্প নয়। এটাই বাস্তবতা। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়ক শাকিব খান ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবন গড়ার দীক্ষা নেয়া শুরু করেছেন।
ঢাকাই সিনে ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান এখন ব্যক্তি জীবনকে ইসলামের আদর্শে গড়ার দীক্ষা নিচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়-ঝাপটা গেলেও প্রফেশনাল লাইফে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন শাকিব। তাইতো ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি খুঁজে আনতে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলামের তালিম নেয়া শুরু করেছেন। এজন্য সম্প্রতি দেশে ফিরে মুফতি উসামার সঙ্গে দেখা করেছেন শাকিব। কিছুক্ষণ বসে তারা ধর্মীয় আলাপও করেছেন। এমন কয়েকটি স্থিরচিত্র এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়ে গেছে।
ছবিতে দেখা যায় শাকিব পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরে মুফতি উসামার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুফতি উসামার সাথে শাকিব খানের অনেক আগে থেকেই যোগাযোগ রয়েছে। ধর্মীয় যে কোনো ব্যাপারে রাজধানী ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের ইমাম উসামার পরামর্শ নিতেন শাকিব। তাকে সঙ্গে নিয়ে শাকিব খান ২০১৬ সালে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে শাকিবের ঘনিষ্ঠজনেরা বলেন, রূপালি পর্দার নায়ক হিসেবে শাকিব যেমন হোক না কেন, বাস্তব জীবনে তিনি ভীষণ ধর্মভীরু। তিনি নামাজ আদায় করেন, রোজা পালন করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থ দেন। এর আগে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে হজ্জও আদায় করেছেন।
প্রসঙ্গত, মুফতি উসামা শোবিজ ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মাঝে ইসলামদের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। গেল বছরের ডিসেম্বরে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, শাহরিয়ার নাফিস, চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল সহ অন্য ক্রিকেটারদের সাথে ওমরাহ পালন করতে দেখা গিয়েছিলেন মুফতি উসামাকে। এবার সেই তলিকায় যোগ হলো শাকিব খানের নাম।
শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের তালাক কার্যকর ১২ মার্চ
চিত্রতারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস আজ থেকে আর স্বামী-স্ত্রী নন এমন কথা চলচ্চিত্রপাড়ায় তো বটে এমন কি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন জানান তা বিষয়টি সঠিক নয়।
হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘শাকিব-অপুর তৃতীয় ও শেষ শুনানি হবে আগামী ১২ মার্চ। তালাক কার্যকরের বিষয়ে সেদিন সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
হেমায়েত হোসেন জানান, অপু বিশ্বাস গত ১২ ডিসেম্বর এই চিঠি হাতে পান। তালাকের নোটিশের চিঠি হাতে পাওয়ার পর গত ১২ জানুয়ারি ডিনএসিসি প্রথম সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে।
২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব খান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে অপুর কাছে তালাকের নোটিশ পাঠান। একই সঙ্গে তিনি শাকিব খানের পক্ষে ডিনএসিসির মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায়ও তালাকের এই নোটিশ পাঠান।
প্রথম বৈঠকে অপু উপস্থিত থাকলেও শুটিংয়ের ব্যস্ততায় তখন থাকতে পারেননি শাকিব। ১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শাকিব এবং অপু। ওই সময় শাকিব শুটিংয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে দেশে থাকলেও বৈঠকে যাননি অপু।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন বাংলাদেশি ছবির জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়। শাকিব-অপু দুজনেই সন্তানের জন্মের বিষয়টি গোপন রাখেন।
২০১৭ সালের ১০ এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলের সরাসরি অনুষ্ঠানে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। এ সময় তার সঙ্গে ছিল ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রাম। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’
সেদিন বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের। গত বছর ২২ নভেম্বর শাকিব খান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে অপুর কাছে তালাকের নোটিশ পাঠান।