
‘৫ জানুয়ারি বিএনপির জন্য আত্মহত্যা দিবস, আগামী নির্বাচেন অংশ না নিলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকালে বনানী পূজা মাঠে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যদি ক্ষমতা থাকে নির্বাচন ঠেকাতে আসুন। আগুন সন্ত্রাস, পেট্রলবোমা দিয়ে যদি কোনো নাশকতা করে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেন, জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কোথাও পালাতে পারবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে আপনারা না আসলে সে দায় কারো নয়। মনে রাখবেন, সময় এবং স্রোত কারো অপেক্ষা করে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি আজ কি দিবস পালন করছে? যদি বিএনপি আগামী নির্বাচনে না আসে তবে তারা আরো একবার রাজনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগের এবং দেশের মানুষের জন্য আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। আর বিএনপির এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জন্য দিবসটি রাজনৈতিক আত্মহত্যার দিবস।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বলছেন, পদ্মা সেতু ভাঙাচোরা। এতো কথা বলেন তিনি। যান গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে স্প্যান বসেছে।’
তিনি বলেন, ‘মামলা করেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বেগম জিয়ার পছন্দের সরকার। আওয়ামী লীগ না। আপনার মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কাদের একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপির জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে বিএনপি নামের একটি দল।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না