
যশোরের ঝিকরগাছা ও নোঙ্গরপুরে গোলাগুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি তারা ডাকাত দলের সদস্য।
শনিবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আজ শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, ভোরে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের নোঙ্গরপুর এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে- এমন সংবাদে পুলিশের একাধিক দল সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ২টি ওয়ানশুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি কার্তুজ, ৫টি ধারালো অস্ত্র, দড়ি, স্যান্ডেলসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি এসআই মোখলেসুর রহমান।
এব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, ভোরে সদর উপজেলার নোঙরপুরে দু’দল দুর্বৃত্তদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞতপরিচয় দুই ব্যক্তির মরদেহ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে ঝিকরগাছা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে উপজেলার চাপাতলা বিলের মধ্যে দু’দল ডাকাতের গুলি বিনিময়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞতপরিচয় দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে দু’গ্রুপের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
একই সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, গাছি দা, রাম দা, চাইনিজ কুড়ালসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বলেও জানান এসআই রফিকুল ইসলাম।