
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণে মৌলভীরশীল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় চোরাকারবারীরা ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কেউ আটক করা সম্ভব হয়নি।
সেন্টমাটিন কোস্টগার্ডের স্টেশনের কমান্ডার লে. ফয়সাল বিন রশিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে একটি বড় চালান বাংলাদেশে ঢুকবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালায়।
এসময় একটি ট্রলার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। ট্রলারটি না থামানো কারণে স্পিডবোট যোগে ধাওয়া করলে ইয়াবা পাচারকারীরা ট্রলার থেকে কিছু বস্তা পানিতে ফেলে দিয়ে মিয়ানমার দিকে পালিয়ে যায়, পরে বস্তা উদ্ধার করে গুনে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৮ কোটি টাকা।
টেকনাফে সাড়ে ২২ কোটি টাকার ৭ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ
(০৬ জানুয়ারি,২০১৮) কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ৭ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া এলাকা থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
টেকনাফ ২নং বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ কাটাবুনিয়া বিওপি’র সদস্যরা টহলে নামেন। এসময় ৬ থেকে ৭ জন লোককে চারটি প্লাস্টিকের বস্তা মাথায় সমুদ্র উপকূল থেকে পুরাতন মেরিন ড্রাইভ রাস্তা দিয়ে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
তিনি আরও জানান, চ্যালেঞ্জ করার পর পাচারকারীরা তাদের মাথায় থাকা বস্তাগুলো ফেলে দৌঁড়ে দ্রুত পাশের গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরে ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বস্তাগুলো খুলে করে ৭ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ২২ কোটি টাকা।
উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো টেকনাফ বিজিবি সদর দফতরে জমা রাখা হয়েছে উল্লেখ করে এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদফতরের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।