
রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৬৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। দুই মামলায় আটক হওয়া ৬৯ জনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাকর্মীদের অনেককেই আসামি করা হবে।
গত মঙ্গলবার দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকেই এই অভিযান চলে। হাইকোর্ট এবং আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২২ জনকে আটক করেন। পরে সন্ধ্যায় আরো ৪৭ জনসহ মোট ৬৯ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হামলার পর শাহবাগ ও রমনা থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা হাইকোর্ট এবং আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২২ জনকে আটক করেন। পরে সন্ধ্যায় আরো ৪৭ জনসহ মোট ৬৯ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাই করে আদালতে পাঠানো হবে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের প্রিজন ভ্যান ভাংচুর, ইট নিক্ষেপ, পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলার পর ৬৯ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলায় অংশ নেয়া অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
জিয়া ট্রাস্ট মামলায় মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে হাজিরা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেরার পথে হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশের কাছ থেকে দুইজনকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপিকর্মীরা। হামলাকারীরা পুলিশের প্রিজন ভ্যানের কাচ ভেঙে ফেলে; কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পেটানোর পাশাপাশি অস্ত্রও ভেঙে ফেলে তারা।
খালেদার হাজিরার দিন বরাবরই বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাই কোর্ট থেকে শুরু করে বকশীবাজার এলাকায় জড়ো হয়ে আসছেন। তাদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের সংঘাত ঘটছিল। মঙ্গলবারও কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে সেখান থেকে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৩ জানুয়ারিও খালেদা আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের।