
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন স্বাধীনতার মাস মার্চে করার জন্য শেখ হাসিনা তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন দায়িত্ব ছাত্রলীগের।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী তার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন, এখন দায়িত্ব ছাত্রলীগের। আমরা তো তাদের সম্মেলনের দিন-তারিখ ঠিক করে দিতে পারি না। আশা করি, শিগগিরই ছাত্রলীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করবে।’
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা এখন সম্মেলন না করলে কখন করবে? বর্তমান কমিটিতে যারা আছ, তারা তো মূল দলে অনেক জুনিয়র হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সব সময় তরুণ নেতৃত্ব চায়। তোমরা এখন নেতৃত্বে না আসলে কবে আসবে? শিগগিরই সম্মেলন করবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সাহসিকতা থেকে ছাত্রলীগকে শিক্ষা নিতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে আওয়ামী লীগের বদনাম হয়।’
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
এদিকে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালী ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলে এ অস্ভার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, বাংলামটর থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে পল্টন মোড় এবং কাকরাইল থেকে মৎস্য ভবন মোড় হয়ে পল্টন পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকেই এসব সড়কে যানজট তৈরি হতে থাকে। এ ছাড়া শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, পল্টন থেকে বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল, মালিবাগ থেকে রামপুরা, বাংলামটর থেকে মালিবাগ, কাকরাইল থেকে মগবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে মিছিলের কারণে কোথাও কোন ধরনের গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি।
র্যালীতে অংশ নিতে সকাল থেকেই সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসছে। এসব নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, রং-বেরংরের পোশাক, প্লেকার্ড, ব্যানার নিয়ে আসছেন তারা।
জনদুর্ভোগরে কথা বিবেচনা করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে র্যালি করা হলেও বাস, মিনিবাস, টেম্পু, প্রাইভেটকারের হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।