
বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন এবি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তা। দুদকের ডাকে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় টায় তারা দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
এ সম্পর্কে কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
যে পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- ব্যাংকের হেড অব করপোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, কোম্পানি সচিব মাহদেব সরকার সুমন ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমএন আজিম।
গত ২৬ ডিসেম্বর সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা এক নোটিসে ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে তলব করা হয়।
একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ছয় সদস্যকে ৭ জানুয়ারি তলব করে সোমবার নোটিস দিয়েছে দুদক। এই পরিচালকরা হলেন- শিশির রঞ্জন বোস, মেজবাহুল হক, ফাহিমুল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, রুনা জাকিয়া ও মো. আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী। এছাড়া ব্যাংকটির গ্রাহক ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিযোগে সাইফুল হক নামে এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জানুয়ারি তলব করা হয়েছে।
এর আগে অর্থ পাচারের ওই অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
এরপর ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। দুদকের এই দুই কর্মকর্তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে অর্থ পাচারের ঘটনায় ব্যাংকটি ঊর্ধ্বতন ১২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। দুদক জানায়, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি অফসোর কোম্পানি খোলার নাম করে দুবাইয়ের পিজিএফ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।