
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে তিনি টেকনাফের দমদমিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন। তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এরপর জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেকনাফ নেচার পার্কে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ওপর নির্যাতনের কথা শোনেন। পরে তিনি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এর পর ইয়াং হি লির দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখার জন্য জাতিসংঘের দূত ইয়াং হিলি পৌঁছেছেন।
এর আগে জাতিসংঘের দূত ইয়াং হিলি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণেই ছড়িয়ে পড়তে পারে চরমপন্থা।
গত বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইয়াং হিলির বক্তব্যে আরো বলেন, দুর্ভাগ্যজনিত কারণে রোহিঙ্গাদের প্রতি কোনো রকমের সহানুভূতি বা সহমর্মিতা নেই মায়ানমার সরকারের।
শতকের পর শতক ধরে রোহিঙ্গাদের সাথে যে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে সবাই। কারণ তারা মানসিকভাবে বিশ্বাস করে রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক না।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে একটি প্রস্তাব পাশের আহ্বান জানান তিনি। একি সাথে রাখাইনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহিংসতার সাথে অং সাং সুচির জড়িত থাকার কথা বলেন হিলি।
হিলি আরো বলেন, মানবিক দিক আর বিশ্বব্যাপী নিজের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যে সহিংসতা আর নির্যাতন কার হচ্ছে তা তিনি রুখতে পারতেন নোবেল জয়ী সুচি।