
আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ক্ষমতায় আসতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে না ভেবে আরও ১০ বছর পরের নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে ভাবতে হবে।
হানিফ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে নয়, তাদের জয়ের জন্য ২০২৯ সালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের এক আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শ্রমিক লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
খালেদার মনে প্যায়ারে পাকিস্তান মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ও বিএনপি দেশটাকে পাকিস্তানের ফেডারেল বানাতে চেয়েছিলেন। এটা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। জিয়া দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল। দেশটাকে পাকিস্তানি ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এসব ইতিহাস মানুষ ভুলে যায়নি।
বিএনপি ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করেন হানিফ।
আলোচনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। খালেদা জিয়ার দুর্নীতিবাজ পুত্র লন্ডনে বসে এখনও দেশের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ হয়ে এখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে হলে শেখ হাসিনার অধীনেই আসতে হবে। আর সে নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকেই জয়ী করবে।
খালেদা পৃথিবীর ৩ নম্বর দুর্নীতিবাজ: হানিফ
ঢাকা: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া তিন নম্বর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
খালেদার উকিল নোটিশ সম্পর্কে নাসিম বলেন, দুর্নীতির মামলার সাজা থেকে বাঁচতে তিনি (খালেদা) প্রধানমন্ত্রী বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়ে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে নাটক করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যুব গেমস’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, রংপুরে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অনেক আগে থেকেই দুর্বল। নির্বাচনে তারা হেরে যাবেন বলেই এসব মিথ্যাচার করছেন।