যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার তিনি সিরিয়ায় রুশ সেনাদের একটি ঘাঁটি পরিদর্শনকালে এ ঘোষণা দেন।
লাতাকিয়ার কাছে হেইমিম বিমানঘাঁটিতে ওই সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও উপস্থিত ছিলেন। সিরিয়ার পর পুতিন মিসর সফরে যান। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।
চলতি বছর মার্চ মাসেও পুতিন এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন; কিন্তু সিরিয়ায় রুশ সেনাদের অভিযান অব্যাহত ছিল।
এদিকে রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নোভাস্তিকে গতকাল পুতিন বলেন, আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনাপ্রধানকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছি। তবে শর্তসাপেক্ষে সিরিয়ার প্রয়োজনীয় স্থানে কিছু সেনা অবস্থান করবে বলেও জানান তিনি।
এসময় সন্ত্রাসীদের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, সন্ত্রাসীরা যদি আবারও জেগে ওঠে, তা হলে তাদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তারা আগে দেখেনি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে সিরিয়া ও রাশিয়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা কোনো দিন ভুলব না। এদিকে গত সপ্তাহে পুতিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, সিরিয়ায় আইএস বিদ্রোহীদের পতন হয়েছে।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেবে না ইইউ
এদিকে আমেরিকার মতোই ইউরোপও জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করলেও, ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান বলেছেন, তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
নেতানিয়াহু এখন ব্রাসেলস সফরে এসে ইইউ নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোনো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফর করলেন। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, তিনি আশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ইউরোপও জেরুজালেমকে তার দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এবং ইউরোপের দেশগুলো একে একে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে নিয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, জেরুজালেম ২ হাজার বছর ধরে ইহুদি জনগণের রাজধানী ছিল। কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি, এবং এ ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই অনুসরণ করবে।
আমরা বিশ্বাস করি যে ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যার দুটিরই রাজধানী হবে জেরুজালেম’-বলেন তিনি। মিজ মোগারিনি দুনিয়ার সর্বত্র ‘ইহুদিদের ওপর সব ধরণেরও আক্রমণেরও নিন্দা করেন।
ইসরাইল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে মনে করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বলে মনে করে- যা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয় ।
জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের দাবি কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ইসরাইলে সব দূতাবাসগুলোই অবস্থিত তেল আবিবে।
জেরুজালেমে ইহুদি, খ্রিস্ট্রান ও ইসলাম- এই তিন ধর্মেরই পবিত্র স্থান আছে।
ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পর ব্যাপক ফিলিস্তিনি ও বিভিন্ন দেশ ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়- যাতে এ পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে।