
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি তিস্তা সেতু বাস্তবায়নে সংযোগ সড়ক গুলোর মাটির কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার ২৫টি উপজেলার লাখ লাখ মানুষের বহুল প্রত্যাশিত দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি তিস্তা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৫২ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের মাটির কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুরসহ লক্ষীপুর-পাঁচপীর-চিলমারী উপজেলা সদরসহ সংযোগ সড়কটির বিভিন্ন অংশে পুরোদমে মাটি ভরাটের কাজ এগিয়ে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১’শ ৪৯ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিক ভাবে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫’শ ৩০ কোটি টাকা। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে এই সেতুটি বাস্তবায়ন হলে উল্লেখিত ৩টি জেলার লাখ লাখ মানুষের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে চলাচলে ৮০ থেকে ১’শ কিলোমিটার সড়ক পথ কমে যাবে।
এতে করে উত্তরাঞ্চলের কৃষিদ্রব্য সহজেই রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানির পথ সুগম হবে। এ অঞ্চলে ঘটবে উন্নয়নে ব্যাপক বিপ্লব বলে ৩ জেলার মানুষ মনে করেন।
এদিকে সেতুটির সংযোগ সড়কগুলোর মাটির কাজ শুরু হওয়ায় তিস্তা নদীর দু’পাড়ের মানুষজন আনন্দে উল্লোসিত হয়ে পড়েছেন।
তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা আ.ব.ম শরিয়ত উল্লাহ মাস্টার আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এ দাবিটি বাস্তবায়নের মুখ দেখতে শুরু করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের মাঝে চির অম্লান হয়ে থাকবে।