
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খামার দশলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার ওই এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী এবং বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ সকাল ১১টায় নলডাঙ্গা বন্দরের ১নং রেলগেটে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন- ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরে আলম নান্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন সরকার, অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, রেজাউল করিম, প্রভাষক ওমর ফারুক, প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মজিবর রহমান, মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন অভিভাবক আজিজার রহমান প্রমুখ। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নলডাঙ্গা বন্দরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণ ঘটনার সাথে জড়িত বখাটেদের এ ধরণের জঘন্যতম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ৫ আসামীর মধ্যে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও বাকি ২ আসামী রুবেল ও খুশিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তারা অবিলম্বে ওই ২ অপরাধীসহ ৫ লম্পটকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মাধ্যমে তাদের ফাঁসির দাবি জানান। ওই ঘটনার পর থেকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষণকারীদের সর্বোচ শাস্তির দাবিতে অব্যাহতভাবে মিটিং মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা বাজার থেকে কাপড় কিনে বাড়ি ফেরার পথে লম্পট যুবকরা ছাত্রীটিকে জোর করে রাস্তার পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের অভিযোগে সোহাগ মিয়া (২১), বাবু মিয়া (২২) ও শরিফুল ইসলাম (২১)কে এলাকাবাসি আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অপর দুই ধর্ষক রুবেল ও খুশি এখনও পলাতক রয়েছে।
ধর্ষক সোহাগ মিয়া নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক দুদু মিয়ার ছেলে। সাদুল্যাপুর থানায় এব্যাপারে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।