
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বৃহস্পিতবার ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার মধ্যেরাতে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রার্থীরা গণসংযোগ করেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। রংপুর নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের মাঝে্ এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। রংপুরবাসীর প্রত্যাশা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের যোগ্য নগরপিতা নির্বাচিত হবেন। সিটি নির্বাচনের একদিন আগে উত্তেজনায় কাঁপছে গোটা রংপুর।
এদিকে, রংপর সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এসিড টেস্টে পরিনত হয়েছে। প্রার্থী, সমর্থক, ভোটাররা এখন নির্বাচনে ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুরের নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ। এ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের জনসমর্থন অক্ষুন্ন আছে বলে প্রমান করতে চায়।আর নৌকাকে হারিয়ে সরকারকে পরিবর্তনের বার্তা দিতে চায় বিএনপি।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে নিজেদের প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে আশাবাদী দলটি। জনগণের রায়ে কাল বৃহস্পতিবার দেখা যাবে কোন দলের প্রার্থী হাসছেন শেষ হাসি।এদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কঠোর মনোভাবের কারণে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা তেমন নেই।
রংপর সিটিতে ২১ ডিসেম্বরের ভোটে সাতজন মেয়র প্রার্থী ও ২৭৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু নৌকা, বিএনপির কাওসার জামান বাবলা ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার হাতি, বাসদের আবদুল কুদ্দুস মই, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এটিএম গোলাম মোস্তফা হাতপাখা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. সেলিম আকতার আম।
রংপুর সিটির দ্বিতীয়বারের মতো এ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতাদের পদচারণায় রংপুর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনী এলাকা প্রার্থীদের পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার। এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সঙ্গে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও রয়েছে। রয়েছে প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনী এই ডামাডোলের মধ্যে পরবর্তী নগরপিতা কে হচ্ছেন তা নিয়ে হিসাব মেলাতে শুরু করেছেন ভোটাররা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস আদালত, মাঠঘাটে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন রংপুরের পরবর্তী নগরপিতা?
রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাত মেয়র প্রার্থীসহ ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।