
বিজয় দিবসে শনিবার সকালে বিনা টিকেটে দেশের ১৫৭টি সিনেমা হলে চারটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ছবিগুলো দেখার সুযোগ পাবে।
চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’, হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আগুনের পরশমণি’, তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘জয়যাত্রা’ ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’—এই চারটি ছবি দেখানো হবে।
বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে দেশের একাধিক প্রেক্ষাগৃহে এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় বলে জানান মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের উপসচিব শাহিন আরা বেগম।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি আমরা। ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ছবিগুলো দেখার সুযোগ পান।
এসব ছবি থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে সবার।’ তবে অন্যবারের চেয়ে এবার ছবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং প্রদর্শনীর পরিসরও বেড়েছে। এ বিষয়ে উপসচিব বলেন, ‘এখন থেকে নতুন প্রজন্মের সামনে এ ধরনের ছবি আরও বেশি করে প্রদর্শন করতে চায় সরকার।’
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল সারা দেশের সিনেমা হলগুলোতে আমরা মর্নিং শোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফ্রি ছবি দেখাব। এরই মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের চারটি ছবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একটি সিনেমা হলে একটি ছবিই দেখানো হবে। ছাত্রছাত্রীরা দেখতে পারবে মাত্র একটি ছবি, কারণ চারটি ছবি বিভিন্ন হলে দেখানো হবে একই সময়ে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখানোর নিয়মটা অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু একটা সময় এসে দেখা গেল, এই নিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। আবার অনেক হলে মুক্তিযুদ্ধের ছবি না দেখিয়ে অন্য ছবি দেখাচ্ছে। যে কারণে প্রায় ১০ বছর ফ্রি ছবি দেখানো বন্ধ ছিল। এখন আবার এই নিয়ম চালু করা হলো। এখন থেকে প্রতি বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখাব।’
জয়যাত্রা ছবির পরিচালক তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটি। এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র উত্সব আয়োজন করে ৬৪টি জেলায় ভালো ভালো ছবি দেখানো হয়েছিল। এতে শুধু জনরুচিই উন্নত হবে না, চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়বে।’