বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ফ্লাইং সসার বা এ ধরনের অদ্ভুত উড়ন্ত বস্তুর কথা বলা হয় যাতে করে অন্য গ্রহের প্রাণীরা চলাচল করে। কিন্তু বাস্তবে তার অস্তিত্ব আছে কি-না তা নিয়ে সন্দীহান বিজ্ঞানীরা।
এবার মার্কিন গণমাধ্যম বলছে যে পেন্টাগন স্বীকার করেছে তারা আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও’র মতো বিষয়ে তদন্তে কোটি কোটি ডলারের গোপন প্রকল্প চালিয়ে আসছে। খবর বিবিসির
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, দশবছর আগে ওই প্রকল্পটি শুরু হয়। ২০০৭ সালে শুরু হয়ে ২০১২ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয় বলে খবরে বলা হয়েছে।
এই গোপন কর্মসূচির বিষয়ে জানতেন কেবল হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা।
একজন সাবেক ডেমোক্রেট সিনেটর হ্যারি রেইড-এর মস্তিষ্ক-প্রসূত। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য আমি মোটেই লজ্জিত, বিব্রত বা দু:খিত নই। আমি এমনকিছু করেছি যেটি আগে কেউ করেনি’।
ব্যয় কমানোর জন্য এই কার্যক্রম বন্ধ করার আগ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করে।
একজন সাবেক কংগ্রেস কর্মকর্তা বলেছেন, বিদেশী শত্রুদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নজরদারির জন্য এই গোপন কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। এই বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত সিআইএ’র হাজার হাজার গোপন নথিতেও ইউএফও এবং ফ্লাইং সসার সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।
চীনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু বোমা ছুঁড়তে সক্ষম: পেন্টাগন
গত বছর চীন যে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে, তা পরমাণু বোমা ছুঁড়তে সক্ষম বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরমাণু বোমা ছুঁড়তে পারে চীন। ওই এলাকায় কোনো জাহাজকে লক্ষ্য করে ডংফেং-২৬ রকেটও আঘাত করতে পারে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্ষিক এই রিপোর্টে জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মোতায়েন করা হয়েছে ওই ক্ষেপনাস্ত্র। একটি মিলিটারি প্যারেড চলাকালীন সেটি মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে চীন সামরিক খরচের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বেইজিং ক্রমশ আকাশ ও সমুদ্রে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে প্রচুর খরচ করছে।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গত ৭০ বছর ধরে আধিপত্য বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই জায়গাটাই নেয়ার চেষ্টা করছে চীন।
চীনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় উঠে এসেছে পেন্টাগনের এই রিপোর্টে। তাইওয়ানের সঙ্গে ঠাণ্ডা সম্পর্ক, পাকিস্তানকে ড্রোন বিক্রি, আফ্রিকায় মিলিটারি বেস তৈরি করা সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।