
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাংলাদেশের প্রথম স্পেশালাইজড সরকারি একটি ‘মাছের বাজার’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ভুক্ত বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) উদ্যোগে চালু হয়েছে বাজারটি। উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান দিলদার আহমদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।
‘ঢাকা মহানগরে মৎস্য বিপণন সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প’-এর আওতায় নির্মিত ‘ঢাকা মহানগর মৎস্য বিপণন সুবিধাকেন্দ্র’ নামক ছয়তলাবিশিষ্ট এই মার্কেটে মাছ ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ৬১টি আড়ৎ ঘর, ৬১টি গদি ঘর ও ৬১টি থাকার ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় বিএফডিসি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অব্যবহৃত ১৫ শতক জমি ক্রয় করে এই মাছের বাজার নির্মাণ করে। আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে ভবনে একটি ব্যাংক ও একটি খাবার হোটেলও স্থাপন করা রয়েছে।
বিএফডিসি সূত্র জানায়, ঢাকা শহরের বর্তমান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মৎস্য-অবতরণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণন পদ্ধতির আধুনিকায়নই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মৎস্য-অবতরণ, বাজারজাতকরণ ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, যাতে ঢাকা মহানগরে ফরমালিনমুক্ত মাছ সরবরাহ সম্ভব হয়।
সাত কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বার্ষিক ৮০ লাখ টাকার ভাড়াবাবদ আয় হবে। অবশিষ্ট আড়ৎ ঘর ও গদি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হলে বার্ষিক দুই কোটি টাকা ভাড়া পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেগাসিটি ঢাকাতে আধুনিক মাছ-অবতরণ কেন্দ্র না থাকায় খোলা আকাশের নিচে কাঁদামাটিতে যত্রতত্র অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ-অবতরণ ও বিপণন করা হয়। মাছ অতি পঁচনশীল দ্রব্য হওয়ায় দ্রুত পঁচে গুণগত মান নষ্ট হয়ে রাজধানীর পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে যায়। এই সমস্যা নিরসনকল্পে পরিবেশ সম্মত উপায়ে মাছের গুণগত মান বজায় রেখে ঢাকা মহানগরে মাছ বিপণন ও ব্যবসায়ীদের বিপণন-সুবিধাদি নিশ্চিতকরণার্থে বিএফডিসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়।