
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমার ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বহিষ্কারাদেশে এমনটি মন্তব্য করলেন তার ভাতিজা জাপা বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যানের বহিষ্কারকে পাত্তা দেই না। আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। আর এ কারণেই আমি রংপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছি। মার্কা আমার হাতি। আমার অবস্থান কেমন তা দেখিয়ে দেবো ২১শে ডিসেম্বর নির্বাচনে।
জয়ের শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে আসিফ বলেন, আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোস্তফা (লাঙ্গল) এর সঙ্গে। আমি ৪০ থেকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো। সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের সঙ্গে আসিফ বলেন, আমি কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি তা দলের চেয়ারম্যানই ভালো করে জানেন। আমাকে কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ায় আমি এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সিটির ৩৩ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যেহেতু রংপুরে লাঙ্গল ফ্যাক্টর সেহেতু আমাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
আসিফ দাবি করেন, আমার সঙ্গে জাপার পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা রয়েছে। তাই আমি দলকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এছাড়া রংপুরে জাপা তেমন অ্যাকটিভও না। আমার নিজ শহর রংপুর। তাই রংপুর সিটিকে নতুন করে গড়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত যেসব ওয়ার্ডে সমস্যা রয়েছে সেসব ওয়ার্ডের ভোটাররা আমাকে চাইছে। বিগত মেয়রের দোষ খোঁজার সময় আমার নেই। সামনের দিকে এগুতে হবে এতটুকু বুঝি।
তিনি জয়ী হলে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দল, মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে রংপুর সিটি নগরীকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। সন্ত্রাস, মাদক, যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে রংপুরবাসীকে উপহার দেবো।
প্রসঙ্গত, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে লাঙ্গল প্রতীক দিয়ে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এদিকে দলের অপর নেতা তার ভাতিজা হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। দলের চেয়ারম্যান তাকে নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করলেও তিনি সেটিকে তোয়াক্কা না করে নির্বাচনে অংশ নেন। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান এরশাদ দল থেকে ৮ই ডিসেম্বর আফিসকে বহিষ্কার করেন।