ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চল ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ১১টা ৪৭ মিনিটে জাভার সিপাতুজাহ এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর জাভার একটি অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও ঘণ্টা দুয়েক পরে তা তুলে নেয়া হয়।
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় তাসিকমালয়া শহরের ৪৩ কিলোমিটার দূরে ছিলো বলে জানিয়েছে ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ান মেটিয়রলজি এজেন্সি।
অপরদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বেশ শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল জাভার সিপাতুজাহ জেলা। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯১.৯ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎপত্তি হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, কেন্দ্রস্থল থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও কম্পন টের পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক ভবন থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়। কম্পন অনুভূত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বানদুং ও ইগোয়াকার্তা শহরেও।
ইন্দোনেশয়ার সরকারি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবারের ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়ামিস শহরে একজন এবং মধ্য জাভার পেকালংগান শহরে অপর একজন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে শতাধিক বাড়ি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল। হাসপাতালগুলো থেকে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। পড়ে রাত আড়াইটার দিকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থা।
এর আগে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ইন্দোনেশইয়ার আচেহ প্রদেশে এক ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ে অবস্থান করায় অত্যন্ত ভূমিকম্প-প্রবণ ইন্দোনেশিয়া। বছরে অন্তত এক বার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় এই দেশে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে পাডাং শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এটি আঘাত হানে।
সুমাত্রার পূর্বে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৫টা ৬ মিনিটে এটি আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৪৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কোনো সুনামির সম্ভাবনা নেই।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, তাৎক্ষনিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।