
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে আরেক পক্ষের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১২টায় জেলা বিএনপি পদধারীদের কর্মী সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবৎ নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে পদাধিকারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মাঝেই নবগঠিত কমিটি কর্মী সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আরো উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পক্ষকেই কর্মী সম্মেলন করার অনুমতি দেয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ আমানকে প্রধান অতিথি করে গোপনে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বালুচরা নামক স্থানে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে শহরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা বলেন, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের এজেন্টরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
হাসিনার অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না: মোশাররফ
বরিশাল: ‘শেখ হাসিনা একজন ক্ষমতালোভী, তার অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়না, তাই জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সেনা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে হবে।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে মহানগর বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ। বিকেলে একই স্থানে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবেও বক্তব্য রাখেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
ড. মোশারফ আরো বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন জাতীয় নির্বাচন হতে পারেনা, হতে দেওয়া হবেনা। আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে। সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। এই দাবি আদায়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছিলেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। তিনি তখন দেশবাসী এবং বিদেশি বন্ধু রষ্ট্রিগুলোকে সব দলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কথা রাখেননি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষ এবং বিদেশি বন্ধুদের ধোকা দিয়েছেন। তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে তা আর কখনো বিশ্বাস করা যায় যাবে না, আর ২০১৪ এবং ২০১৮ সাল এক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন, মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া প্রমুখ।