1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে “সংবাদ সম্মেলন করে অপরাধ ঢাকার চেষ্টা: অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক পক্ষের। খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ বিরুধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সিপিবি’র বিক্ষোভ পলাশবাড়ীতে ফিলিং স্টেশন ও বেকারীতে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় গাইবান্ধা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিদ্যমান সার নীতিমালা ২০২৯ বহাল রাখার দাবী পলাশবাড়ীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর জরুরী মাশোয়ারা কোচিং বাণিজ্য ও আইন প্রয়োগ, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ অরক্ষিত! ‎”মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে” ‎লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন হাঙ্গেরীর কনসাল পোলানেক ‎লালমনিরহাটে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার পলাশবাড়ীর পবনাপুর ইউপি কার্যালয়ে তালা, সেবা থেকে বঞ্চিত কয়েক হাজার মানুষ

অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জাতিসংঘে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছে তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিবদমান নগরীর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মধ্যেই ট্রাম্প এমন পদক্ষেপের কথা জানালেন। খবর বিবিসির

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, ওইসব দেশ লাখ লাখ ডলার এমনকি কোটি কোটি ডলার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিচ্ছে।

হোয়াইট হাউস বলছে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তাদের ভোট দিতে দিন। আমরা অনেক কিছুই সংরক্ষণ করব, আমরা কোনো কিছুর পরোয়া করি না।’

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করে প্রস্তাবনা ও ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এল।

অবশ্য এর আগে গতকাল বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে হুঁশিয়ারি দিয়ে সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে বলেছেন, জেরুজালেম ইস্যুতে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে ভেটো দিচ্ছে তাদের নাম তালিকা সংরক্ষণ করবে হোয়াইট হাউস। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে ভোট দেওয়ার বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবেই বিবেচনা করবেন।

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের বিরোধিতা করে গত সোমবার মিসরের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ সেটির পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বিপক্ষে ভোট দেয়।

এই খসড়া প্রস্তাবনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত না করলেও বলা হচ্ছে এটি পাস হলে জেরুজালেমের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে।

জেরুজালেম নগরীর অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুসলমান ও ইসরাইলের ইহুদিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার পর থেকেই পুরো ফিলিস্তিনি জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির পশ্চিম তীর, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক শতাধিক আহত হন।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র যা রয়েছে
দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি প্রচার, সাথে পরাক্রম দিয়ে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র উন্মুক্ত করে বলা হয়েছে বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতার নতুন অধ্যায়ে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

৬৮ পৃষ্ঠার এ কৌশলপত্রে মিত্র ও সহযোগীদের যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বিশেষ করে ন্যাটো জোট যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী শক্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ন্যাটো চার্টার অনুযায়ী তাই এক দেশের উপর হামলাকে সদস্য দেশের উপর হামলা বিবেচনা করে একসাথে কাজ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় এ কৌশলপত্রে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী, এতে দেশ ও সীমান্ত রক্ষায় অগ্রাধিকার, সামরিক পুনর্গঠন, বহির্বিশ্বে শক্তি প্রদর্শন এবং বাণিজ্য নীতির পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, যেসব দেশ সম্পদশালী, তাদের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিরক্ষা ব্যয় ফেরত দেয়া।’

দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের অবস্থানের বৈপরীত্য দেখা গেলেও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের ক্ষেত্রে সহযোগী দেশগুলোর প্রত্যাশা ছিল, স্পষ্ট ঐক্যমত থাকবে প্রশাসনিক অবস্থানে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্টতা খুঁজতে চাওয়া বন্ধুত্বপ্রতীম দেশের জন্য কৌশলপত্র ও ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের মিশ্র বার্তা বিভ্রান্তকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৌশলপত্রে রাশিয়া ও চীনকে ‘রিভিশনিস্ট পাওয়ার’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধ অবস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘মার্কিন নিরাপত্তা ও উন্নয়নে ধস নামাতে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা, প্রভাব ও স্বার্থের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে।’

যদিও সন্ত্রাস দমনে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পারষ্পরিক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিআইএ-র তথ্যের ভিত্তিতে পিটাসবুর্গে সম্ভাব্য এক সন্ত্রাসী হামলা আটকানো গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পারষ্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন উল্লেখযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হলেও কৌশলপত্রের সমালোচনা করে বলা হয়, ওয়াশিংটন একমুখী বিশ্বের ধারণা নিয়ে এগুচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘একমুখী বিশ্বের ধারণা থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতির কারণে এ ডকুমেন্টের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’

অন্যদিকে, চীনের প্রতি কঠোর মনোভাবের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক প্রতিক্রিয়া চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেইজিংকে মার্কিন শক্তির প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতা’-র বহিঃপ্রকাশ যা ওয়াশিংটনের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের আহ্বান চীনের কৌশলগত অভিপ্রায়ের ইচ্ছাকৃত এ বিকৃত উপস্থাপন বন্ধ করা হোক, সেই সাথে স্নায়ুযুদ্ধ ও জিরো সাম গেমের মতো প্রাচীন ধারণা বাদ দিক। নয়ত এ সব নিজেদের বা অন্যদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বারাক ওবামার জলবায়ু নীতি থেকে শুরু করে মুক্ত বাণিজ্যের ধারণার বিপরীতে অবস্থান নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রকাশিত এ কৌশলপত্রেও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরাসরি কোনো উল্লেখ না করে একে ‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মূল অবস্থান প্রধান উৎপাদক, ভোক্তা ও আবিষ্কারকের যাতে বাজার উন্মুক্ত থাকে এবং মার্কিন পরিকাঠামো থাকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ।’

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনা’-র নীতি কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় কৌশলপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ‘জরুরি এবং ক্রমবর্ধমান হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

এবারের নিরাপত্তা কৌশলপত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করে এ হুমকি মোকাবেলায় কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য সুযোগ বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গও এসেছে এতে। এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নতুন এই নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়ন করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft