
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বুধবার দুশানবের হিসোর সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে দুই গোল করেছেন মাহবুবুর রহমান সুফিল, একটি করে গোল বিশ্বনাথ ঘোষ ও রিয়াদুল হাসান রাফির।
চারটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ম্যাচের শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলা বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। ১৩ মিনিটে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০ মিনিটে রাফি দ্বিগুণ করেন ব্যবধান।
বাকি দুই গোলই সুফিলের। মালদ্বীপের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে জয় এনে দেওয়া এই ফরোয়ার্ড ৩৮ মিনিটে ৩-০ করেন স্কোরলাইন। আর বিরতির ঠিক আগে তার দ্বিতীয় গোলে নিশ্চিত হয়ে যায় জয়।
প্রথমার্ধে চার গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ বিরতির পর অনেক চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। আর কোনও গোলের দেখা পাননি সুফিল-জাফর ইকবালরা।
চার ম্যাচে দুই জয় এবং একটি করে ড্র ও হার নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপে তাই রানার্সআপ হওয়া প্রায় অসম্ভব মাহবুব হোসেন রক্সির শিষ্যদের জন্য। দিনের পরের ম্যাচে উজবেকিস্তান ৮ গোলের ব্যবধানে তাজিকিস্তানকে হারালেই গ্রুপে দ্বিতীয় হতে পারবে বাংলাদেশ।
তাজিকিস্তান মিশন শেষ হলো ভালোভাবেই। স্বাগতিক দলকে রুখে দেওয়া আর শক্তিশালী উজবেকিস্তানের সঙ্গে দারুণ লড়াইয়ের সুখস্মৃতি আগামী দিনে তরুণ ফুটবলারদের নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে।
মাশরাফির রংপুরকে হারিয়ে প্রথম জয়ের হাসি হাসলো চিটাগং ভাইকিংস
১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নেমে ১৫৫ রানেই থেমে যায় মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভাবে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থাকে রংপুর। এতে প্রথম জয়ের হাসি হাসলো চিটাগং ভাইকিংস।
ব্যাট হাতে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন রবি বোপারা। ২৩ রান আসে মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে লাসিথ মালিঙ্গার অপরাজিত ১৪ ও মাশরাফির ১৩ রান পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র।
বল হাতে চিটাগং ভাইকিংসের তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন লুইস রেসি।
এর আগে বুধবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ৯ ওভারেই ভাইকিংসরা করে ১০০ রান। নবম ওভারের পঞ্চম বলে লুক রঞ্চি বিদায় নিতেই ব্যাটিংয়ের দৈন্যভাবটা ফুটে ওঠে দলটির। এরপর দিলশান মুনবিরা ফিরে যান ২০ রান করে।
প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যান আউট হতেই পরের ৬ ওভারে মিসবাহ-রিসরা মিলে নেন মাত্র ৩১ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৬ রান করে থেমে যায় চিটাগং ভাইকিংসদের ইনিংস।
অথচ ম্যাচে কি দুর্দান্তভাবেই না শুরু করেছিল মিসবাহ উল হকের দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লুক রঞ্চি একাই রংপুরের বোলারদের শাসন করে চলেন। প্রথম ৫ ওভারে দলটির স্কোর ছিল ৬৩ রান। আজ দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান সৌম্য সরকার। মাশরাফির বলে জিয়াউরকে ক্যাচ দেন তিনি। চিটাগংয়ের রান তখন ৫৯। সৌম্যর রান মাত্র ৭!
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন রঞ্চি ও মুনাবিরা। ৯৯ রানে আউট হন লুক রঞ্চি। মাত্র ৩৫ বলে সাতটি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চারে ৭৮ রা্ন করেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। গত ম্যাচে ২১ বলে ৪০ রান করেছিলেন তিনি।
ভাইকংসদের রানটা আরো বাড়তে পারত। তবে মিডল অর্ডারে একেবারে শম্ভুক গতির ব্যাটিং করেন অধিনায়ক মিসবাহ ও লুইস রিস। ১৬ বলে ১০ রান করে আউট হন রিস আর মিসবাহ করেন ৩২ বলে মাত্র ৩১ রান। অপর ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ১৪ বলে করেন ১৭ রান।