1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ

রাজনীতির মাঠে ভোটের উত্তাপ

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। ২০১৮ সালের শেষভাগে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রতিযোগিতামূলক হবে এমনটা ধরে নিয়ে জনসমর্থন কুড়াতে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি তৃণমূলে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করছেন বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলতি বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন সমাবেশে কৌশলে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে ভোট চাইছেন। দেশের রাজনীতিতে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি দীর্ঘদিন কোনো সভাসমাবেশ না করতে পারলেও দলটির চেয়ারপারসন সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফেরার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার যাওয়ার পথে জনসংযোগ করেন। সর্বশেষ রবিবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে খালেদা জিয়া এক ধরনের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

এদিকে আমৃত্যু রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকতেই জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নতুন জোটের উদ্যোগ নেন। তাছাড়া আগামী নির্বাচনে কোনো কারণে যদি বিএনপি না আসে তখন বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার সুযোগ থাকবে। এ কারণে তিনি জোট গঠন করছেন বলে জানিয়েছেন এইচএম এরশাদের ঘনিষ্ঠরা। সংসদের এই বিরোধীদল পিছিয়ে নেই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে। দলটির চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি ও সম্ভব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কাজ করছেন নিজ এলাকায়।

এদিকে বিএনপি নির্দলীয় সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এমন অবস্থান আপাতত বিএনপিতে দৃশ্যমান হলেও ভেতরে ভেতরে তাদের ভোট-প্রস্তুতিও চলমান। তবে তা চলছে কিছুটা ভিন্ন কৌশলে অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক বা কাগজে-কলমে নয়। কাউকে ডেকে অথবা কেউ সাক্ষাৎ করতে গেলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এছাড়া লন্ডনে বসবাসকারী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাউকে কাউকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ছয় সিটিতে যাওয়ার কথা ভাবছেন খালেদা জিয়া। সিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর।

সড়কপথে এ সব সিটিতে সফর করে সারাদেশের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করাই মূল লক্ষ্য। এ সময় যাত্রাপথে যে সব জেলা পড়বে সেগুলোতে এক ধরনের জনসংযোগও সেরে ফেলবেন খালেদা জিয়া। এদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন বিষয়ে কোনো কথা না হলেও তাদেরও মূল্যায়ন করবে বিএনপি। এর প্রধান কারণ হলো, শত প্রতিকূল অবস্থায়ও গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচি সফল হলেও ঢাকায় এসে তা থেমে যাওয়ার অপবাদও অনেকটা ঘুচেছে। ঢাকায়ও বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী তার প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে শনিবার রাতে গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সময় মত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরবেন।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের পর ২৯ জানুয়ারি সংসদের অধিবেশন প্রথম বসে। এই হিসেবে ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাত্ ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ১২৩ (৩) ধারা অনুসারেও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা রয়েছে।

নির্বাচনী প্রস্তুতিতে আওয়ামী লীগের তোড়জোড়ের কমতি নেই। সর্বশেষ সংসদীয় দলের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এখন থেকেই নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার জন্য দলের সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচন কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করিয়ে দিয়ে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জনপ্রিয়তা ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি ওই বৈঠকে নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্বতন্ত্র ১১ সংসদ সদস্যকেও নতুন মনোনয়নের জন্য মনোযোগ দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভোট চাইছেন। কয়েকদিন আগে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে ওয়াদা করেছিলাম তার অনেক কিছুই পূরণ হয়েছে। কিছু ওয়াদা পূরণের কাজ চলছে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা আগামীতে পূরণ করা হবে। এ জন্য আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft