
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য একটি পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বুধবার দুপুরে তার বনানীস্থ কার্যালয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া হোসেনের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষভাবে না পারলে ইসির প্রতি জনগণের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে না। ইসি সেই ঝুঁকি নেবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।
তিনি যোগগদানকারী জাকারিয়া হোসেনকে জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন আমাদের দিকেই ঝুঁকে পড়েছে। তাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ)-কে নিয়ে এককভাবে নির্বাচনে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে বলে ঘোষনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মেজর খালেদ আখতার (অব.), চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা প্রমুখ।
মায়ানমার আর কখনোই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে না: এরশাদ
আমার মনে হয় মায়ানমার সরকার আর কোনো দিনই রোহিঙ্গাদের আর ফিরিয়ে নেবে না এদের ভার আমাদেরই বহন করতে হবে। ওদের আশ্রয়-খাবারের ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
রবিবার রংপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। পরে দর্শনায় যান।
তিনি বলেন, ‘মায়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। এর পরও তাদের দেশে আশ্রয় দিতে হবে স্থায়ীভাবে, সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যে গণহত্যা আর বর্বরতা চালানো হয়েছে তা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।’