
যশোরের এমএম কলেজের দক্ষিণ গেট এলাকার খড়কী শাহ আব্দুল করিম সড়কের পাশের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে অর্ধশতাধিক বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয় বলে যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রীনিবাসের মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয়রা ৭-৮ জনের একটি দলকে ছাত্রীনিবাসের প্রাচীরের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। ওই দলটির সদস্যদের আচার-আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের কয়েকটি টিম।
ডিবির ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা প্রাচীরের ভেতরে ওই দলটিকে দেখতে পান। কিন্তু তারা গাড়ি থেকে নামার আগেই ওই দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ প্রাচীরের ভেতর প্রবেশ করে তিনটি বস্তা ও দুইটি ব্যাগ পান। এই দুই ব্যাগে ৫০-৬০টি বোমা পাওয়া যায়।
যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বোমাগুলো উদ্ধার করে পানিভর্তি বালতিতে রেখে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’ যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি বলেন, ‘কারা, কী উদ্দেশে বোমাগুলো রেখেছিল, এই মুহূর্তে তা বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
যশোরে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণে আ.লীগকর্মী আহত
এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর যশোরের চৌগাছায় বোমা তৈরি করার সময় বিস্ফোরিত হয়ে মিন্টু (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। তিনি উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের পাতিবিলা গ্রামের কবীর হোসেনের ছেলে। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন ১১ টার দিকে মিন্টু ও তার ভাই রকিব নিজেদের বাড়িতে ঘরের মধ্যে বসে বোমা তৈরী করছিল। এ সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরিত হয়ে গেলে তারা দুই ভাই আহত হয়। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ মিন্টু ও রাকিবকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মিন্টুকে আটক করা হয়েছে। রাকিবকে আটক করা হয়নি।
এলাকার বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মিন্টু ও রাকিব বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করে।