ভিয়েতনামে গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড় ড্যামরের আঘাত ও প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিয়েতনাম সফরের মাত্র কয়েক দিন আগে বন্যায় ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিল দেশটিতে।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় কানহ হোয়া প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে তলিয়ে গেছে সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকা। শনিবার ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার বসতি।
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে সেখানকার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। ঝড়ের কারণে বাতিল করা হয়েছে বেশকয়েকটি বিমানের ফ্লাইট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন।
খান হোয়া, নিল থুয়ান ও ফু ইয়েন প্রদেশে প্রায় ৮০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩৫ হাজার লোক নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা খানহ ফান বলেছেন, সংগৃহীত সবশেষ তথ্য মঙ্গলবার তার সংস্থার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহর দানাংয়ে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ছাড়া রাজধানী হ্যানয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ত্রাণ দাই কুয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ভিয়েতনামে বন্যা-ভূমিধসে ৭৭ জনের মৃত্যু
গত মাসে ভিয়েতনামের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি জানায়, এ দুর্যোগের ঘটনায় ২৬ জন নিখোঁজ হয় এবং এতে আরো ৩৮ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২৬ জন উত্তরাঞ্চলীয় হোয়া বিন প্রদেশে, ১৭ জন উত্তরাঞ্চলীয় ইয়েন বাই প্রদেশে, ১৬ জন মধ্যাঞ্চলীয় থান হোয়া প্রদেশে, নয়জন মধ্যাঞ্চলীয় নঘি আন প্রদেশে, ছয়জন উত্তরাঞ্চলীয় সন লা প্রদেশে, দুইজন রাজধানী হ্যানয়ে ও একজন মধ্যাঞ্চলীয় কুয়াং ত্রি প্রদেশে মারা গেছে।