বরিশালের বানারিপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে অর্ধ-শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগেও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নানার মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে নাতি। তবে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে নানী সালেহা বেগম।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, উপজেলার খোদাবক্স গ্রাম থেকে নৌকায় চড়ে নিজবাড়ি ব্রাহ্মণকাঠি যাচ্ছিলেন আনোয়ার ব্যাপারী (৫৫)। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সালেহা বেগম ও ছয় বছর বয়সী নাতি মাহিন (৬)।
নৌকাটি আনোয়ার ব্যাপারী নিজেই চালাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ সময় সালেহা বেগমের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা নদী থেকে আনোয়ার ব্যাপারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে নাতি মাহিন নিখোঁজ রয়েছে।
মেঘনায় ট্রলার ডুবি, ৪ জেলের লাশ উদ্ধার
জেলার হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ৪ জন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জনতারঘাট এলাকা থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
সোমবার ভোররাতে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর থেকে এই ৪ জেলে নিখোঁজ ছিলেন। মৃত জেলেরা হলেন, উপজেলার নলেরচর এলাকার আদর্শগ্রামের রাশেদ (৩০), কামরুল (২৮), রকি (২৬) ও স্বপন (২০)।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোররাতে ৬ জন জেলে মেঘনা নদীর জনতারঘাট এলাকায় এসে মাছ ধরার নৌকাটি নোঙ্গর করে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ঘাটের পল্টনের সাথে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটির নিচের অংশ ফেটে গিয়ে ডুবে যায়। পরে দুই জেলে নিরাপদে তীরে উঠে আসতে সক্ষম হলেও বাকী ৪ জেলে নিখোঁজ ছিল।
মঙ্গলবার সকালে জনতারঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে তাদের মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাসমান অবস্থায় লাশগুলো উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনরা এসে লাশ সনাক্ত করেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।