
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি প্রমিলা ফুটবল খেলোয়ারদের বাড়ী ফেরা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।এতে কিছু গণমাধ্যমে তাদের বাড়ী ফেরা নিয়ে লেখালেখি হলে মুখ খুলতে শুরু করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
তাদের ভাষ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি ফুটবল খেলোয়াররা জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করায় অবশ্যই আমাদের জেলার মুখ উজ্জল করেছে।এটা শুধু এককভাবে রাণীশংকৈলের রাঙ্গাটুৃংগীর গর্ব নয়, এ গর্ব ঠাকুরগাঁও জেলার।সে বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল তাদের ঢাকা যাওয়া-আসা সহ সকল দায়িত্ব বহন করারও ঘোষনা দেন।
এর আগে গত বছর জাতীয় পর্যায়ে খেলতে যাওয়ার সময় তাদের সরকারি যাতায়াত খরচ বাদে ৭১ হাজার টাকা বাড়তি খরচের যোগান দেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা।তাছাড়া তাদের জার্সি, বুটসহ খেলার সরঞ্জমাদি প্রদান করে।
এছাড়াও তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে আসছে।সর্বোপরি তাদের খেলার মানন্নোয়নে জেলা ফুটবল এসোসিয়েন ঢাকা থেকে একজন প্রশিক্ষক এনে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের প্রমিলা ফুটবল দল জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের অভিবাদন জানানো হয় এবং তাদের বাড়ী ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায় বাসের জার্নিতে যানজট ও ঝামেলা মনে হওয়ায় তারা ট্রেনে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
সে মোতাবেক তারা ট্রেনে রওনা হয় এবং রাণীশংকৈলে ট্রেন ষ্টেশন না থাকায় পীরগঞ্জে নেমে বাসযোগে রাণীশংকৈল অতপর সে এলাকার ভ্যানযোগে বাড়ী পৌছে।কিন্তু মিডিয়া ভাইয়েরা সঠিক তথ্য তুলে না ধরায় আমরা মর্মাহত।
তবে খুব শীঘ্রই আমরা টিমের পরিচালক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলামের সাথে বসে সময় নির্ধারন করে জেলা পর্যায়ে সংবর্ধনা প্রদান করব।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাটুংগী প্রমিলা টিমের পরিচালক জানান, ট্রেনের জার্নি সবচেয়ে আরামদায়ক হওয়ায় আমরা ট্রেনে এসেছি। আমাদের বাড়ী ফেরার দরকার আমরা বাড়ী ফিরেছি, সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে সংবর্ধনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।