
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সূত্রটি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর ছুটিতে থাকা হাথুরুসিংহে গত কয়েকদিনে বিসিবির কোনো যোগাযোগে সাড়া দেননি। তবে বিসিবি যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বক্তব্য শোনার জন্য আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করবে বোর্ড। এরপর সিদ্ধান্ত হতে পারে, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কিনা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিতে পারেন হাথুরুসিংহে। অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়া শ্রীলঙ্কান এই কোচের সঙ্গে আলোচনা চলছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের। হাথুরুসিংহের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বাংলাদেশের সাবেক ব্যাটিং কোচ থিলানা সামারাবিরাকে কদিন আগে ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এটিও একটি ইঙ্গিত।
প্রসঙ্গত, দারুণ বিপর্যয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে ফেরেননি। তিনি ছুটি কাটাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেটের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোও হাথুরুর পদত্যাগের খবর জানিয়েছে। তবে তারাও বিসিবির কাছ থেকে খবরটা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এর আগে গেল বছরের অক্টোবরেও একবার বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। কিন্তু বিসিবি সেটা গ্রহণ করেনি। বোর্ড তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যেসব বিষয় নিয়ে প্রধান কোচেন অসন্তোষ সেগুলো তারা মিটিয়ে ফেলবে। এরপর সবকিছু ভালো যাচ্ছিল। হাথুরুসিংহ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তো আগেই। তবু কোথাও ফাঁক ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যখন বাংলাদেশ একের পর এক বাজে পারফরম্যান্স দিয়ে যাচ্ছিল তখন তো বাংলাদেশ কোচ একবারও মিডিয়ার সামনে আসেননি। যতবার অনুরোধ করা হয়েছে, প্রত্যাখ্যান করেছেন তা।
২০১৪ সালের মে মাসে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী সময়ে তার অধীনে বাংলাদেশ দারুণ পারফর্ম করতে থাকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলেছে প্রথমবার। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ দল। এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে। ৪৯ বছরের হাথুরুসিংহের সাথে বিসিবি চুক্তি নবায়ন করেছিল এক বছর আগেই।
রাতেই মাশরাফির বাসায় গেলেন শুভাশিস
মাশরাফির সাথে শুভাশিস রয়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণকে ঘিরে গোটা দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে যখন সমালোচনা ঝড় বইছে। ঠিক তখনই নিজেকে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচাতে সেই মাশরাফির দারস্ত হলেন শুভাশিস। খেলা শেষে বুধবার রাতেই মাশরাফির সাথে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি।
বুধবার চিটাগং ভাইকিংস এবং রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার ম্যাচে মাশরাফির সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে শুভাশিস। ম্যাচের তখন১৭তম ওভারের খেলা চলছিল। ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর বোলার চিটাগং ভাইকিংসের শুভাশিস রায়। বলটি রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতেই খেললেন মাশরাফি। বল চলে গেলো সোজা বোলার শুভাশিসের হাতে।
শুভাশিস চেয়েছিলেন বলটি থ্রো করতে; কিন্তু করলেন না। বল ছোঁড়ার ভঙ্গি করলেন। এসময় মাশরাফি তাকে বল ছুড়তে নিষেধ করে বোলিং প্রান্তে ফিরে যেতে বলেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মাশরাফির দিকে তেড়ে গেলেন শুভাশিস। পিচের মধ্যেই কথার লড়াই শুরু হয়ে গেল মাশরাফি-শুভাশিসের। তবে শুভাশিসের আচরণ ছিলো দৃষ্টিকটু।