
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকারি দল আওয়ামী লীগ গোপনে বৈঠক করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টুর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের সাথে তারা (আওয়ামী লীগ) বৈঠক করেছে। কিন্তু তাদের বাগে আনতে পারছে না। মানে জামায়াত মাশুলটা বেশি দিয়ে ফেলছে তো। সেজন্য জামায়াতের নিচের স্তরের নেতাকর্মীরা কোনো অবস্থাতেই এটা মেনে নিতে পারছেন না।’
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে যা যা অন্তরায় আছে সেগুলো মূলোৎপাটন করে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কিন্তু সেটা শেখ হাসিনার অধীনে নয়। শেখ হাসিনার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তা কোয়াইট ইম্পসিবল।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) বৈঠক করেছে। কিন্তু দলটিকে বাগে আনতে পারছে না। মানে জামায়াত মাশুলটা বেশি দিয়ে ফেলছে। সেজন্য দলটির নিচের স্তরের নেতাকর্মীরা কোনো অবস্থাতেই এটা মেনে নিতে পারছেন না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে যা যা অন্তরায় আছে সেগুলো নিরসন করেই আমরা নির্বাচনে যাব। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি এখনো শেখ হাসিনার জন্য গলার কাঁটা। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৪ সালে যে যে কারণে আমরা নির্বাচনে যাইনি সে কারণে আমরা আগামী নির্বাচনেও যেতে পারি না। সুতরাং যে কারণে যাইনি সে কারণগুলোকে আমরা মোকাবিলা করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সৃষ্টি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। এজন্য আমরা সদা প্রস্তুত।’
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন আওয়ামী লীগ বয়কট করবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি একটি আগাম কথা বলি, বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন ন্যূনতম অবাধ-সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করবে। কারণ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসবে না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের জাজমেন্টে কিন্তু বলে দিচ্ছে আরও দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাই সরকারের নাম নিয়ে আমাদের এতো কথাবার্তা বলার দরকার নেই। এটা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েই দিয়েছে। এখন এটা শুধু কার্যকর করার জন্য আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। এজন্য যদি আইনি লড়াই করতে হয় সেটা করার প্রয়োজনীয়তা আছে। সুতরাং যে দিন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখবে, সেদিন এই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না করার হুমকি দেবে।’