
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে খালেদা জিয়া অবৈধভাবে এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তা আজ দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার সকালে মাদারীপুরে আচমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
শাজাহান বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে দলটি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না।
নৌমন্ত্রী বলেন, যেকোনো মামলায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার সাজা হবেই। তেমনি খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপি নির্বাচন করবে না।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে উন্মুক্ত ভোটের মাধ্যমে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। ১৩৫টি দেশ এই রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়ে মায়ানমারের রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিপক্ষে ভোট দেয় ১০টি দেশ। ভোট প্রদানে বিরত থাকে ২৬টি দেশ। ওআইসির পক্ষে সৌদি আরব এই রেজুলেশন উত্থাপন করে। তাই মায়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আচমত আলী খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ওয়ায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক প্রমুখ।
শনিবারের সমাবেশ রাজনৈতিক নয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের যেই সমাবেশ হবে সেটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়।
শুক্রবার রাজধানী এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, এই সমাবেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে নাগরিক সমাজের একটি সমাবেশ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের অনুসারী ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের অনুসারীদের মধ্য সংঘর্ষ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ঘটনায় যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দু-একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে অনেক দলের নেতা-কর্মী অনেক অপরাধ করে পার পেয়ে গেছে। এসব দল কখনো অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সব সময় কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে শুধু সাংগঠনিক না, প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। সে জন্য সংসদ সদস্য হয়েও কারাগারে থাকা, মন্ত্রী হয়েও আদালতে হাজিরা দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়।