
প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে কয়েকদিন আগেই শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হবিগঞ্জের অটোরিকশা চালক ইজাজুল মিয়া। সেই মামলার আর্জিতে তিনি উল্লেখ করেন শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রে সংলাপে বলা ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে তার।
তবে এবার সেই ঘটনায় ১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসিতেও খবরের শিরোনাম হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
বিবিসি শাকিব খানকে বাংলাদেশের সর্বাধিক পরিচিত নায়ক হিসেবে অভিহিত করেছে। এছাড়াও তাকে বাংলাদেশের জনপ্রিয়, সফল এবং অসংখ্য পুরস্কারজয়ী তারকাদের একজন হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে বিবিসির ঐ প্রতিবেদনে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে , এএফপি নিউজও এজেন্সিকে ইজাজুল মিয়া জানিয়েছেন, ৫ দিনে প্রায় ৫০০ ফোনের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। যারা ফোন করছেন তারা সবাই শাকিব খানের নারী ভক্ত এবং শাকিবের সঙ্গে দেখা করার আশায় ফোন দিচ্ছেন তারা।

ইজাজুল মিয়া জানান এই ঘটনায় তার পরিবার থেকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তাকে। এছাড়াও তার স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এক সন্তানের বাবা ইজাজুল জানান, এত নারীদের ফোন আসার কারণে তার স্ত্রী ভাবছেন ইজাজুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ইজাজুল।
ফোন নম্বরটি অনেক পুরাতন। ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যবহার করা এই নম্বরটি অনেক মানুষের কাছেই আছে। তাই নম্বরটি বদলে ফেললেও ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন ইজাজুল। তাই সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে এই ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন তিনি। এদিকে ভক্তরা ফোন দিয়ে হতাশ হয়ে ইজাজুলকে হুমকি দিচ্ছেন এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলছেন। এএফপি জানিয়েছে, এক ভক্ত এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শাকিব খানকে দেখার জন্য যে ৫০০ কিলোমিটার পেরিয়ে ইজাজুলের এলাকায় এসে হাজির হয়েছেন।
‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের সময় ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের মোবাইল নাম্বার দেন শাকিব খান। এই নম্বরটি ছিল ইজাজুলের নাম্বার। বিনা অনুমতিতে নম্বর ব্যবহার করার কারণে শাকিবসহ সিনেমাটির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস এবং প্রযোজক আশফাক আহমেদের বিরুদ্ধেও ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করেছেন তিনি। এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘রাজনীতি’ ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে ইজাজুল মিয়ায় দায়ের করা ৪২০ এবং ৫০০ ধারায় প্রতারণা এবং মানহানি মামলাটির শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।