1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে কিশোরগাড়ীর কাশিয়াবাড়ী শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটিগঠন উপলে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবী মাসব্যাপী দেশ গড়তে ‘জুলাই পদযাত্রা’ নামে কর্মসূচি উপলক্ষে গাইবান্ধায় সমাবেশ -উপস্থিত থাকবেন এনসিপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পলাশবাড়ী পৌরসভায় যুক্ত হলো মাটি খননকারী একটি নতুন আধুনিক যন্ত্র তারাগঞ্জে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা পলাশবাড়ী পৌরসভার বাজেট ঘোষণা: অর্ধেকেরও কমে নেমে এলো বাজেট! পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন: তদন্তে মিলছে না অস্তিত্ব! তারাগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে অনিয়ম বসুন্ধরা শুভসংঘের কমিটি গঠন উপলক্ষে পলাশবাড়ীতে আলোচনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের সমাবেশে ঐতিহ্য ও ভূমির অধিকার রক্ষার দাবী

১১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

অভিবাসন নীতিমালা অমান্য করে বসবাস ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শতাধিক অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওই ১১ বাংলাদেশিকে গতকাল বুধবার ভোরে অ্যারিজোনার ডিপোর্টেশন কেন্দ্র থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষ বিমানে তুলে দেয়া হয়। তাদের মধ্য ১০ জনই নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি।

বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন সেলিম আহমেদ, মোজাম্মেল হক, করিম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, বাবলু শরিফ, মোহাম্মদ বাদল রনি, মোহাম্মদ ফরিদুল মওলা, মনিরুল ইসলাম, নাসরিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আম্বিয়া ও খায়রুল আম্বিয়া।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিদের স্বজনদের অভিযোগ, বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত পাসপোর্ট দিয়ে মার্কিন অভিবাসন বিভাগকে সহযোগিতা করেছে। এ কারণে ভুক্তভোগী অভিবাসী ও তাদের পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়ার আগেই বিতাড়ন-প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে।

ওই ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদন করেছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান মাজেদা উদ্দিন।

তিনি বলেন, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধীদের ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অথচ এই ১১ বাংলাদেশির একজনও কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত ছিলেন না। তাদের অপরাধ একটাই, আর তা হচ্ছে অভিবাসনের মর্যাদা পাননি। তারা সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা দোকানের বিক্রেতা অথবা ট্যাক্সি চালিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, অভিবাসীদের তথ্য জানাতে গড়িমসি করায় বাংলাদেশের নাগরিকদের বি-১ ভিসা বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন বিভাগ এ-সংক্রান্ত হুঁশিয়ারিপত্র দূতাবাসে পাঠায়। এরপর থেকেই ভিসাপ্রক্রিয়া সচল রাখার স্বার্থে দূতাবাস দ্রুতগতিতে ট্রাভেলস ডকুমেন্ট ইমিগ্রেশন সার্ভিসের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশিদের তথ্য দিতে দেরি হওয়ায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশের অনেক নাগরিকের ভিসা আবেদন বাতিল হয়। ওই প্রক্রিয়া বন্ধ করতেই দূতাবাসকে দ্রুত তথ্য দিতে হয়।

সাউথ এশিয়ান এডুকেশন স্কলারশিপ অ্যান্ড ট্রেনিং অর্গানাইজেশনের নির্বাহী মাজেদা উদ্দিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির শিকার হয়ে দুই নারীসহ ২৭ বাংলাদেশি ডিপোর্টেশনের পথে আছেন। তারা এখন অ্যারিজোনার ফ্লোরেন্স কারেকশন সেন্টারে আছেন। নিউইয়র্ক, কানেটিকাট, নিউজার্সি ও অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য থেকে তাঁদের আনডকুমেন্টেড হিসেবে আটক করে ইমিগ্রেশন সার্ভিস। আটক ব্যক্তিদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রেই এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

আটক হওয়া ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে মাজেদা উদ্দিন বলেন, আটক ব্যক্তিদের হাতে ইংরেজিতে ‘লো আর হাই’ লেখা বিভিন্ন রঙের ব্যান্ড লাগানো আছে। গত চার মাসে বাংলাদেশ দূতাবাস ১৪ জনকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই দূতাবাস ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিচ্ছে এবং দূতাবাস আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

অথচ বাংলাদেশ দূতাবাস তদন্ত করে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন, তাদের মুক্ত করার ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন অভিবাসন বিভাগকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট না দিলে তারা আপাতত রক্ষা পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে বৈধ হওয়ার সুযোগ নিতে পারতেন। পাকিস্তান দূতাবাস দেশটির আটক ব্যক্তিদের ট্রাভেলস ডকুমেন্ট না দেয়ায় তারা বন্ড দিয়ে ফিরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে থাকতে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মাজেদা উদ্দিন বলেন, দেড় মাস আগে চারজন ও গত তিন-চার মাসে মোট ১৪ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিতাড়িত হওয়া বাংলাদেশিরা অনেকেই দুই-তিন দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। এখানে বিয়ে করেছেন, সন্তান হয়েছে।

বিতাড়নের শিকার বাবলু শরিফের পরিবার গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানিয়েছে, এভাবে যেন বিতাড়ন না করা হয়।

এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নতুন ৭০ দফা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৯ সেপ্টেম্বর ৭০ দফা পরিকল্পনা কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়। এ পরিকল্পনায় সীমান্তদেয়াল নির্মাণের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান আইনে তিনটি পরিবর্তন রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ আইনের শক্ত প্রয়োগ এবং বৈধ অভিবাসন-ব্যবস্থার সংস্কার।

মাজেদা উদ্দিন জানান, ব্রুকলিনের কোনি আইল্যান্ডে রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একই রেস্তোরাঁয় কাজ করা তার স্ত্রী বাধা দিয়ে ফেঁসে গেছেন; কারণ তিনিও অবৈধভাবে এদেশে বাস করছিলেন।

এ দম্পতির তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সবার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। মা-বাবার অনুপস্থিতিতে এই শিশুদের কী হবে, সেটি তুলে ধরে মানবিক কারণে তাদের মুক্তি দিতে সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।

সেপ্টেম্বরের শেষ চারদিনেও নিউইয়র্ক সিটি ও বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশসহ ৪২ দেশের ৪৮৯ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা।

গত মাসের শেষ সপ্তাহের ওই অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৮৯ জনের মধ্যে ৩১৭ জন গুরুতর অপরাধে জেল খেটেছে, ৬৮ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ রয়েছে, ১০৪ জন বহিষ্কারের পর ফের বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছিলেন। এছাড়া ১৮ জন চিহ্নিত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন দপ্তর।

এই গ্রেপ্তার অভিযান নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। যদিও যারা কোনো অপরাধে জড়িত নন বা ছিলেন না, তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ধরনের অভিযানের প্রেক্ষাপটে সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাদের পরিচয়পত্র নেই, তারা যেন এমন কিছু সঙ্গে রাখেন, যা দিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো যায়; বিশেষ করে যাদের অভিবাসী মর্যাদার ‘এডজাস্টমেন্ট’ অথবা অন্য কোনো কর্মসূচিতে আবেদন ঝুলে রয়েছে, তারা যেন এটর্নির পরামর্শ অনুযায়ী চলাচল করেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft