
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিএনপি কতটা আন্তরিক? তাদের কনসানটা শুধু রাজনীতির। দেশে তিন দফা বন্যা হল কিন্তু তিনি না এসে দিনের পর দিন শুধু আসি আসি বলে আশা দিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনের সামনে বিআরটিএ এর মোবাইল কোর্ট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি কূটনীতি উদ্যোগ ব্যর্থ হত তাহলে মায়ানমারের সুর নরম হল কীভাবে? মায়ানমার রোহিঙ্গাদের বিতাড়ণ, নির্যাতন করে এটা চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তাদের অবস্থান অনড় সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিল। এখন তো মায়ানমারের মন্ত্রী আসার পর একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের সুর যদি নরম না হতো অবস্থানের যদি পরিবর্তন না হতো তাহলে মায়ানমারের মন্ত্রী কীভাবে বাংলাদেশে আসে আলোচনা করে? জয়েন্ট ওয়ার্কিং করে? আমাদের সব কিছুর জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে। ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। আমরা যদি তাদের ফাঁদে পা দেই তাহলে গোটা অঞ্চলের ক্ষতি হবে।’
মায়ানমার কয়েকবার সীমানা লঙ্ঘনের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা কয়েকবার সীমানা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু সবার চাপে এটা এখন আর করছে না।’
যদি রোহিঙ্গা আসতেই থাকে তাহলে বর্ডার বন্ধ করে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানবিক কারণেই যখন উদার চিত্ততার প্রকাশ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রী যখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন আমি তখন আলাপ করেছিলাম টেলিফোনে। আমাদের যারা নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে তারা অনেকেই বলেছিল এখন যেভাবে রোহিঙ্গা আসছে আমার বর্ডার বন্ধ করে দিবো কিনা? তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন আমরা যখন মানবিক কারণে সীমান্তের দরজা খুলে দিয়েছি তখন আবার কী এমন কারণ ঘটল, যে আমাদের মানবিক যে দৃষ্টি কোণ এটার পরিবর্তন ঘটল। যে পর্যন্ত বিশ্ব জনমত এবং জাতিসংঘে চাপে বন্ধ না হবে আমরা জোর করে দরজা বন্ধ করে দিবো না। আমাদের মানবিক দৃষ্টিকোণটা একেক সময় একেক রকম হতে পারে না।’