
সম্প্রতি এই চিত্রনায়িকা প্রসূন আজাদের ডির্ভোসের খবর প্রকাশ পেয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন বিয়ের খবর জানতে দেননি এই নায়িকা। অস্ট্রেলিয়ায় এই নায়িকার ‘মৃত্যুপরী’ ছবির শুটিং চলা অবস্থায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন প্রসূন প্রেমে পড়েছেন। ঠিক তখন থেকেই সিডনিতে অবস্থানকারী মোহাইমিন নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন ‘সর্বনাশা ইয়াবা’র এই নায়িকা।

প্রায় তিন বছর প্রেম করার পর ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে সিডনিতেই গোপনে বিয়ের পিড়িতে বসেন প্রসূন। মোহাইমিন সম্পর্কে নাকি প্রসূনের কাজিন। যদিও এই নায়িকা পৃথক পৃথক গণমাধ্যমকে দিয়েছেন ভিন্ন ধরণের বক্তব্য। এক বার তিনি বলছেন তার স্বামী তার সম্পর্কে কাজিন হয়। অন্যদিকে আরেক সংবাদ মাধ্যকে তিনি বলছেন ‘মৃত্যুপরী’র শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে মোহাইমিনের সঙ্গে তার পরিচয়। তখন থেকে ভালো লাগা। আর এই ভালো লাগা থেকে প্রেম। শেষ পর্যন্ত সেটা বিয়েতে গিয়ে পৌচ্ছায়।
বিয়ের খবর গোপন করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ডির্ভোসের খবর গোপন রাখতে পারলেন না এই লাক্স তারকা। বিয়ের সময় কাছের দু-একজন ছাড়া কেউ-ই ব্যাপারটি জানত না, এমনকি তাদের বাবা-মাও না। অবশ্য ওই সময়ে প্রসূন মোহাইমিনের সাথে ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন।

এসব বিষয়ে প্রসূন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ‘মৃত্যুপুরী’র শুটিংয়ে যাওয়ার সময় বিমানে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। পাশাপাশি সিটে বসে পুরোটা পথ একসাথে যাই। কথা হয়, ভাল লাগে সেখান থেকে প্রেম ও বিয়ে।’
বিচ্ছেদের বিষয়ে প্রসূন বলেন, ‘মূলত আমাদের সম্পর্কটা ছিল ‘লং ডিসটেন্স রিলেশন’ যার কারণে সমস্যাগুলো তৈরি হয়। প্রথম দু’বছর সমস্যা না হলেও এ বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আমি ওকে খুব একটা সময় দিইনি। ওই সময়ে আমি প্রচুর আড্ডা দিয়েছি, অনেক আজেবাজে বন্ধু-বান্ধব হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, সন্দেহ প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এসব কারণেই আজ আমরা সম্পর্কের শেষ প্রান্তে এসে পৌচ্ছেছি। বলতে পারেন ডির্ভোসের জন্য আমিই দায়ী।’

উল্লেখ্য, প্রসূন আজাদ ২০১২ সালে লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হন। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাজ্জাদ সুমনের ‘শহরের নতুন বালিকা’, অনিমেষ আইচের ‘একটি মৃত্যুর স্বপ্ন’ এবং চয়নিকা চৌধুরীর ‘টকেটিভ’ ইত্যাদি। এছাড়া প্রসূন অভিনীত ‘সর্বনাশা ইয়াবা’, ‘মূসাফির’ ও ‘অচেনা হৃদয়’ মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জায়েদ রেজওয়ান ‘মৃত্যুপুরী’ ছবিটিও।