
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীতে পৃথক দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। সোমবার সকালে মহাসড়কের সদর উপজেলার কান্দাইলে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এবং শিবপুরের কারারচরে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, নরসিংদী থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী সদর উপজেলার কান্দাইলে যাত্রীবাহী বাসটি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে চালকসহ চারজনের মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাবুল হোসেন (৩২), রেজাউল করিম (৩৫), জোবায়ের (৩৫), আবুল খায়ের বাশার খাঁন (৩৫), ইকবাল আহমেদ (৩২) ও চালক বাবুল (৩৫)। আহতরা হলেন একই এলাকার হাফিজ উদ্দিন (৩৫) ও দেলোয়ার হোসেন (৩২)।
দুর্ঘটনায় মহাসড়কের উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে। পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মাধবদী থানার এসআই উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, মাইক্রোবাসের চাকা বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের সকলের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, বেলা ১০টার দিকে একই মহাসড়কের জেলার শিবপুর উপজেলার কারারচর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মদিনা জুট মিলের সামনে ঢাকা থেকে সিলেটগামী দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে নরসিংদী থেকে ইটাখোলাগামী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কারারচর গ্রামের সুজন মিয়া (২৪) নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় ছয়জনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারারচর গ্রামের আরমান মিয়া (৫০) ও সৈয়দনগর গ্রামের মাসুম মিল্লাহর মৃত্যু হয়েছে।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে।