
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কৃষি বিভাগের ব্যাপক তৎপরতার পরও চলতি মৌসুমে আমন ফসলের পোকার আক্রমন সহ বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে দিশেহার হয়ে পরেছিল কৃষক।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কর্তৃক জানা গেছে চলতি রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী রোপন সহ উপজেলায় মোট ২৮ হাজার ৩ শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই কৃষকরা বন্যায় রক্ষা পাওয়া ধান ক্ষেতে ইউরিয়া প্রয়োগ ও বৃষ্টির কারনে ধান গাছ ঘন ও সবুজ লক লকে হয়ে উঠায় বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই ও পোকার আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পরেছিল।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে যোগ যোগ করে জানা যায় যে, আমন ধানের সকল বালাই নিয়ন্ত্রনে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা তৎপর রয়েছেন। বালাই আক্রমন রোধে ইউনিয়ন ভিত্তিক স্কোয়ার্ড দল গঠন , আলোর ফ াঁদ স্থাপন সরেজমিনে পর্যাবেক্ষন পূর্বক ব্যক্তিগত যোগাযোগ , আই জি এম , আই পি এম ক্লাব ও স্কুল সহ সি আই জি গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে লিফলেট ও পরামর্শ পত্র বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আবার উপ- পরিচালক কৃষি বিভাগ গাইবান্ধাও নিয়মিত মাঠ মনিটরিং করছে বলে জানান।
এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারের বালাই নাশকের ডিলার ও দোকান সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় মজুদ মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল বালাই নাশক যাচাই করা হচ্ছে। এলাকার ৫-৭ জন কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যামে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে। কৃষি বিভাগ আশা করছে আমন ধানের এ সমস্যা বর্তমানে কেটে গেছে।